নদিয়া: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) 'গোষ্ঠীকোন্দল' (Infighting)। এবার ঘটনা কল্যাণীতে (Kalyani)। প্রাথমিক ভাবে শোনা যাচ্ছে, সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতির সঙ্গে সংখ্যালঘু সেলের অঞ্চল সভাপতির বিবাদের জেরে মারামারি, পার্টি অফিস ভাঙচুর, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে কাঁটাবেলে এলাকায়। তাতে দুই তরফেরই সব মিলিয়ে জখম ১০ জন।


যা জানা গেল...
জখমদের ২ জনকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল থামাতে শেষে আসরে নামতে হয় কল্যাণী থানার পুলিশকে। যদিও সংখ্যালঘু সেলের অঞ্চল সভাপতি গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতির ঘাড়ে। বেআইনিভাবে মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায়, আক্রোশবশত মারধরের পাল্টা অভিযোগ এনে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। ঘটনাচক্রে গত কাল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা। দু'পক্ষের মোট চার জন জখম হয় তাতে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ...
বাঁকুড়ার পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতটি এই মুহূর্তে তৃণমূলের দখলে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের দলীয় পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে গত কাল অর্থাৎ বুধবার দুপুরে স্থানীয় গোপালপুর গ্রামের, পঞ্চায়েত প্রধান টুম্পা গরাইয়ের স্বামী দীপক গরাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি কর্মী আকাল গরাইয়ের বিবাদ বাঁধে।। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী লাঠি দিয়ে আকালের মাথায় মারেন। ওই বিজেপি কর্মীর মাথায় গুরুতর চোট লাগে তাতে, এমনই দাবি। দ্রুত আকালকে উদ্ধার করে বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও তৃণমূলের তরফে এই ধরনের অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি। উল্টে পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর বক্তব্য, পতাকা টাঙানোর সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। আকাল গরাইয়ের পরিবারের দু'জন অন্যের আম চুরি করছিল। তার প্রতিবাদ করতেই আকাল, পঞ্চায়েত প্রধান, তাঁর স্বামী ও দেওরকে মারধর করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবী করে বিজেপির হুঁশিয়ারি, পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ না করলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে তারা। দু'পক্ষই বেলিয়াতোড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বস্তুত, এই রাজ্যে, রাজনৈতিক সংঘর্ষের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। নির্বাচনের মুখে তার দাপট আগেও দেখেছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। হালেই যেমন পিংলায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষেপ খবর ছড়ায়। নবজোয়ার কর্মসূচির পতাকা বাঁধাকে কেন্দ্র করে দিনচারেক আগে ওই সংঘর্ষ হয়েছিল। তাতে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হন। সেখানেও একে অন্য়ের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনে তৃণমূল-বিজেপি। তার আগে, গত জানুয়ারিতে, কুলতলির মৈপীঠে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন দু'দলের মোট ৫ জন কর্মী-সমর্থক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনে বিজেপি। পাল্টা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের।


আরও পড়ুন:ত্বকের যত্নে বছরভর কোন কোন প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন?