কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরেই ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে পথে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস।  আগামীকাল থেকে বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকার স্ক্রুটিনি করবেন খোদ ফিরহাদ। স্ক্রুটিনি করে কে প্রকৃত ভোটার, তা চিহ্নিত করবেন তৃণমূলকর্মীরা। তারপর তা পাঠানো হবে কমিশনের কাছে, জানালেন মেয়র। নেতাজি ইন্ডোরে সভার পরেই কালীঘাটে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে মেয়র।


এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে, সিরিয়াসলি এটা নিয়ে, আমাদের অর্গানাইজেশনে যত, বুথ লেভেল ওয়র্কার আছে, তাঁদের এখনই, স্ক্রুটিনি শুরু করতে। স্ক্রুটিনিতে যে ভোটারের অস্তিত্ব নেই, যে ভোটার চলে গিয়েছে, যে ভোটার ভুয়ো, এগুলিকে চিহ্নিত করে বার করে, বিস্তারিত তালিকা করে, নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে।'


বাংলা দখল করতে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকাচ্ছে বিজেপি। তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে হরিয়ানা, রাজস্থান, বিহার, পাঞ্জাবের বাসিন্দাদের নাম। নেতাজি ইন্ডোরে দলের সাংগঠনিক বৈঠক থেকে এমনই অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কারচুপির অভিযোগে কাঠগড়ায় তুললেন নির্বাচন কমিশনকে।ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুললেন, মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে। ভুয়ো ভোটার খুঁজতে কমিটি গড়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা চেয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। 


মুখ্য়মন্ত্রী  মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, একই এপিক নম্বরে বাংলার ভোটারের যেখানে নাম আছে, সেখানে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, বিহার, সব নাম ঢুকিয়েছে। রাজ্য়সভার সাংসদ  বিজেপি নেতা  শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপিও বদ্ধপরিকর পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্ন করতে।'তেনাদে'র নিয়ে তরজা আরও তুঙ্গে। নেতাজি ইন্ডোরের মেগা সাংগঠনিক বৈঠক থেকে ফের একবার বাংলার ভোটার তালিকায় ভিন রাজ্য় থেকে ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগ জোরালভাবে তুললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।


 মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ধরুন একটা নাম মুর্শিদাবাদের রানিনগরে বাড়ি মহম্মদ শাহিদুল ইসলাম, এর এপিক কার্ড নম্বর যেটা আছে পশ্চিমবঙ্গে, তাঁর সঙ্গে নাম যুক্ত করেছে সোনিয়া দেবী।  তাঁর বাড়ি কোথায়, তাঁর বাড়ি হচ্ছে হরিয়ানা। মহম্মদ আলি হোসেন, রানিনগরে বাড়ি তাঁর সঙ্গে নাম তুলেছে কার,মনজিৎ, তাঁর বাড়ি হরিয়ানা। বানেরা বিবি, রানিনগর তাঁর সঙ্গে নাম তুলেছে কার, দীপক। বাবার নামও আছে। বাড়ি কোথায়? হরিয়ানা। তাহলে পশ্চিমবঙ্গ ভোট দেবে না হরিয়ানা ভোট দেবে, পশ্চিমবঙ্গে? বুঝতে পারছেন খেলাটা? মাথায় কিছু ঢুকল?


আরও পড়ুন, এবার কুণালের নেতৃ্ত্বে চাকরিপ্রার্থীদের 'হাইকোর্ট-চলো' ! 'বিকাশের অন্যায় মামলায় নিয়োগ আটকে..'


 সরকার যার, কারচুপির ক্ষমতা তো তার। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে পাল্টা খোঁচা দিয়ে মন্তব্য় অধীর চৌধুরীর। প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, 'যাদের সরকার তাদের দায়িত্ব এটা। কারচুপি করার ক্ষমতা তাদের আছে, যাদের সরকার, বিজেপির যেখানে সরকার, বিজেপি  সেখানে তারা কারচুপি করে। পশ্চিমবঙ্গ যাদের সরকার তারা কারচুপি করছে।'