কলকাতা : বারবার আটক তারপর শেষমেশ গ্রেফতার। হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর যা নিয়ে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ট্যুইটে লেখেন, '১৪৪ ধারা ভাঙলে তো গ্রেফতার হয়। আমাকে গ্রেফতার করুন, প্রচারের জন্য আবেদন করে গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার। সকাল থেকে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে চলছে তাঁর প্রচারের রেষারেষি। এরা প্রচার পাচ্ছে দেখে এবার জেগে উঠল শুভেন্দু (অধিকারী)। উস্কানি পলিটিক্স। ওদিকে শূন্য পাওয়াদের একাংশের চক্রান্ত। সবই ব্যর্থ হবে।'
প্রসঙ্গত, হাওড়া (Howrah) যাওয়ার আগে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে আসার পরেই সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। গ্রেফতার করা হয়েছে, দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। আগে এসএসকেএমের কাছে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতির গাড়ি। গাড়ি আটকানোয় রাস্তায় হাঁটতে থাকেন সুকান্ত। পরে গাড়িতে করে হাওড়া যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।
এর আগে নিউটাউনের বাড়িতে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। জোর করে বেরনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও পুলিশের হাতাহাতি শুরু হয়। বাড়ির সামনে বসানো হয় গার্ড রেল। সেই গার্ড রেল ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কির পর বাড়ি থেকে বেরোন সুকান্ত মজুমদার, পরে বিদ্যাসাগর সেতু থেকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। গতকাল হাওড়ায় বিজেপির যে সমস্ত পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে, সেগুলি আজ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
এদিকে, আজ সকালে উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় বিজেপি পার্টি অফিস পরিদর্শন করেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ। গতকাল বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ পৌনে ১১টা নাগাদ পার্টি অফিসে আসেন দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ।
আরও পড়ুন- বিজেপি বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক, ১৫ জুন দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়