কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) মামলায় এবার আদালতে ঢোকার আগে বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে শোনা যায় সুজন (Sujan Chakraborty), দিলীপ (Dilip Ghosh), শুভেন্দুর (Suvendu Adhkari) নাম। যা নিয়ে শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিকে এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, পার্থর দাবি করা তিন জনকেই হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হোক।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'বাম জমানায় হোলটাইমার মানেই বাড়িতে কেউ না কেউ চাকরি পেয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি। এর জন্য কোনও তথ্য লাগবে না। ৩৪ বছরে বাংলায় যা হয়েছে সেটাই প্রমাণ। সবাই জানেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ত কিছু মনে হয়েছে তাই এমন অভিযোগ করেছেন। উনি তো প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তাই উনি যা বলেছেন, সেই নামগুলি কিন্ত এবার তদন্তের আওতায় অবশ্যই আনা উচিত। এঁদের প্রত্যেককে হেফাজতে নিয়ে পার্থবাবুর সঙ্গে মুখোমুখি জেরা করা দরকার। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন অভিযুক্ত হিসেবে এই অভিযোগ করছেন তখন কেন্দ্রীয় সংস্থা কেবল তৃণমূলের দিকে ছুটবেন অন্য কারও দিকে ছুটবেন না এটা হতে পারে না। যাঁদের নাম পার্থদা বলেছেন তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক।'
প্রসঙ্গত, ১১.৪৮ নাগাদ একটি ট্যুইট করেছিলেন কুণাল ঘোষ। এরপর ১২.০৫ এ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই মন্তব্য করেছেন। এ প্রসঙ্গে এবিপি আনন্দকে কুণাল ঘোষ বলেন, 'সাত দিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বাম জমানা নিয়ে একই কথা বলেছিলেন। আমিও কাল বিকেলে এই বিরোধীদের সম্পর্কে একই কথা বলেছি। এটা নতুন কিছু তো নয়। প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের নথি কেন পাওয়া গিয়েছে তা নিয়েও তো আমি বলেছি। সাংবাদিকরা কী প্রশ্ন করেছেন আর পার্থবাবু কী বলেছেন সেটা আমার জানার কথা নয়।'
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতে ঢোকার আগে কী বলেছিলেন?
- 'যে সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দুবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন তাঁরা নিজেদের দিকে দেখুন'
- 'উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন দেখুন'
- '২০০৯-১০ -এর সিএজি রিপোর্ট পড়ুন'
- 'সব জায়গায় তদ্বির করছেন যেহেতু আমি বলেছি করতে পারব না'
- 'আমি বলেছি যে আমি নিয়োগ কর্তা নই'
- 'আমি বলেছি সাহায্য় তো দূরের কথা কোনও বেআইনি কাজ করতে পারব না'
- 'শুভেন্দু অধিকারীর ২০১১-১২ সালটা দেখুন, ডিপিএসটি-টা দেখুন কী করেছে'