কলকাতা: গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) কাণ্ডে ফের হাজিরা এড়ালেন বীরভূমের (Birbhum News) তৃণমূল (TMC)সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে অনুব্রতকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI/সিবিআই)। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নিজাম প্যালেসে এলেন না অনুব্রত। সিবিআই-কে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে ১৫ দিন বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সিবিআই চাইলে বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে পারে।
সিবিআই দফতরে গেলেন না অনুব্রত
এর আগে, বুধবার সিবিআই দফতরে অনুব্রতর আয়কর, সম্পত্তি ও আয়ব্যয় সংক্রান্ত নথি জমা পড়ে। সিবিআই দফতরে গিয়ে নথি জমা দেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। CBI সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল যে নথি জমা দিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আয়কর দফতরের কাছেও নথি চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই, যা এলে, অনুব্রত মণ্ডলের পেশ করা আয়কর রিটার্নের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।
গরু পাচার মামলায় এখনও অবধি অনুব্রত মণ্ডলকে একাধিক বার তলব করেছে CBI। গরু পাচার মামলাতেই গোয়েন্দাদের সামনে হাজিরা দিয়ে, প্রায় দেড় মাস পর সম্প্রতিই বোলপুরের বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত। সেখানে নিজেকে কার্যত ঘরবন্দিই করে রেখেছেন তিনি। তিনি ফইরলে মানুষের ভিড় উপচে পড়লেও, বিশেষ বিশেষ কয়েক জন ছাড়া সে ভাবে কারও সঙ্গেই দেখা করেননি অনুব্রত। এমনকি দলের তরফে আয়োজিত স্থানীয় সভা-মিছিল থেকেও নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন তিনি। সেই সময়ই অনুব্রতর আইনজীবী জানিয়ে দেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে, চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Partha SSC: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের পার্থকে ডাকতে পারে CBI।Bangla News
গরু পাচার মামলায় গত সপ্তাহেই অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল CBI। সেই জিজ্ঞাসাবাদ অসম্পূর্ণ থাকায়, শুক্রবার ফের তাঁকে তলব করা হয়। কিন্তু তার আগেই কলকাতা থেকে বীরভূম চলে যান অনুব্রত। সিবিআই সূত্রে দাবি, গত সপ্তাহে হাজিরা দিতে এসেই, সাড়ে তিনটের সময় তাঁর চিকিত্সকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে বলে জানান অনুব্রত মণ্ডল। অনুরোধ করেন, তাঁকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।
সিবিআই সূত্রে দাবি, সেই জন্য অনুব্রতরর জিজ্ঞাসাবাদ অসম্পূর্ণ হলেও বৃহস্পতিবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সিবিআই অফিস থেকে বেরিয়ে গত সপ্তাহে SSKM-এ যান অনুব্রত। সেখানে পরীক্ষা করার পর, মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে ১৫ দিন বেড বিশ্রামের পরামর্শ দেন বলে খবর।
আয় সংক্রান্ত নথি জমা অনুব্রতর
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের ক'টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেইসব অ্যাকাউন্টের গত কয়েক বছরের স্টেটমেন্ট, কয়েক বছরের আয়কর দাখিলের নথি, তাঁর কী কী ব্যবসা রয়েছে, তাঁর আয়ের উত্স কী এবং সম্পত্তির মোট পরিমাণ কত, সেই সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়েছিল। সেই নথি জমা করা হয়ে গিয়েছে। তবে এ দিন আর হাজিরা দিতে গেলেন না অনুব্রত।