বাপন সাঁতরা, আরামবাগ: মঙ্গলবার অর্থাৎ পঞ্চমীর রাতে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোদ উঠল একজন তৃণমূল (TMC) নেতা ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে। পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন পোস্ট অফিস এলাকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। এর ঘটনার পর প্রচুর পুলিশ কর্মী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা হেমন্ত পালকে আটক করেছে। যদিও পলাতক স্থানীয় তৃণমূল নেতা হেমন্ত পালের বন্ধু।
আরও পড়ুন: Rachana Banerjee: "সাংসদ হিসেবে সবাইকে আনন্দ দেব, মন জয়ের চেষ্টা করব", দাবি রচনার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুবকের নাম দেবাশিস আঁশ। বাড়ি আরামবাগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনিকেতন পল্লী এলাকায়। মৃতের আত্মীয়দের দাবি, সোমবার অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন রাতে আরামবাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন পোস্ট অফিস এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন। রাত বাড়তে থাকায় ভাগ্নের খোঁজে সেখানেই গিয়েছিলেন দেবাশিস। ভাগ্নেকে ডাকতে গিয়ে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি হেমন্ত পালের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন আচমকা হেমন্ত ও তার সঙ্গে থাকা আরও এক বন্ধু মিলে চড়াও হয় দেবাশিসের ওপর। অভিযোগ, এলোপাথাড়ি চড় ও থাপ্পড়ের পাশাপাশি বাঁশ ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় দেবাশিসকে। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে মামাকে বাঁচাতে গেলে দেবাশিসের ভাগ্নে সায়ন চক্রবর্তীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এলোপাথাড়ি মারধরের জেরে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে দেবাশিস। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তৎক্ষণাৎ ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে জখম অবস্থায় দেবাশিসকে উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা দেবাশিসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে এই ঘটনার খবর পেয়ে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছায় আরামবাগ থানার। তারপর মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে মূল অভিযুক্ত হেমন্ত পালকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও তার বন্ধুকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: RG Kar Case: বৈঠকে গেলেও বোঝাপড়ায় যাচ্ছি না, জানিয়ে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা