কলকাতা : বিজেপি বিধায়কদের (BJP MLAs) সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যাওয়ার পর শিশির অধিকারীর সাংসদ পদে খারিজের দাবি বিতর্কে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। "উনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিজেপির সঙ্গেই আছেন", বলে বর্ষীয়ান রাজনীতিককে খোঁচা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পাল্টা তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপির।


বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে মঞ্চ-ভাগ-


পুজোর উদ্বোধনে বিজেপি বিধায়কদের (BJP MLAs) সঙ্গে একমঞ্চে দেখা গেছে শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari)। কাঁথির নান্দনিক ক্লাবের সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী ও সম্পাদক সৌমেন্দু অধিকারী। চতুর্থীর রাতে ওই পুজোর উদ্বোধনে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ ও কাঁথি দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অরূপ দাস। বিষয়টি সাংসদ পদ খারিজের শুনানিতে উল্লেখ করা হবে বলে জানিয়েছে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। 


এনিয়ে সুর চড়িয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, "উনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিজেপির সঙ্গেই আছেন। যেটা মন থেকে চাইছেন, যেটা মন থেকে করছেন, নির্বাচনের আগে বিজেপির মঞ্চে গিয়ে যে দলের নির্বাচিত সাংসদ, তাদের সমালোচনা করছেন, সরকার পড়ে যাওয়ার কথা বলছেন। ফলে, মুখ ফুটে সেগুলো আবার স্বীকার করতেই কেন এত অসুবিধা বুঝতে পারি না। আশা করেছিলাম, উনি বুক বাজিয়ে বলবেন বিজেপি করছি। এত লুকিয়ে চুরিয়ে চুপি চুপি ! পুজোর মঞ্চ, ভোটের মঞ্চ কিছুই যখন বাদ দিচ্ছেন না, একটু জোরে বলুন না। কোনও অসুবিধা নেই।"


পাল্টা রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "আগে দুর্গাদুর্গাপুজো" href="https://bengali.abplive.com/topic/amit-shah" data-type="interlinkingkeywords">পুজোর সময় রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনে বাঙালির ঘুম ভাঙত। এখন গরু, কয়লা, স্টোন চিপস , বালি, পাথরের কথা শুনছেন। যে রাজনৈতিক দল অসহিষ্ণু, তারাই এই রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতায় বিশ্বাস করে। তৃণমূলের কাছে রাজনৈতিক শিক্ষা পুজোর ক'টা দিন শিখতে নারাজ। বিভাজনের রাজনীতি তাদের যেমন চলছে, চলছে। আমাদের অবস্থানেও আমরা অনড় থাকব।" 


প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের মুখে ২০২০’র ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। পরের বছরের শুরুতেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও।  এরপর ২১’র বিধানসভা ভোটের আগে অমিত শাহর সভামঞ্চে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীর বাবা ও কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে। কিন্তু, তিনি তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়েননি। এরপরই শিশিরের সাংসদপদ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।  সেই থেকে এ টানাপোড়েন চলছেই। এরইমধ্যে শিশির অধিকারী দাবি করেছেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন। 


আরও পড়ুন ; সাংসদ শিশির অধিকারীকে সমন পাঠাল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি