কলকাতা: অধিকারী পরিবারের সম্পত্তির পর্দাফাঁস করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই নিয়ে একাধিক দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কুণাল ঘোষ। তৃণমূল মনগড়া কথা বলছে না, সব তথ্য-প্রমাণ হাতে রয়েছে বলে জানান। বাংলায় সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি বৃদ্ধির নজির শিশির অধিকারীর বলে এদিন দাবি করেন কুণাল। 


এদিন সংবাদমাধ্যমে একাধিক নথিপত্র তুলে ধরেন কুণাল। এদিন তিনি জানান, বাংলায় সবচেয়ে সম্পত্তিবৃদ্ধির নজির শিশির অধিকারীর সম্পত্তি। এক বছরে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ১০ কোটি টাকা। কোন জাদুতে একবছরে ১০ কোটি টাকা সম্পত্তি বাড়ে? প্রশ্ন তোলেন কুণাল। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় কম করে দেখানো হয়েছে সম্পত্তি এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে দেওয়া তথ্য আলাদা বলেও এদিন দাবি করেন কুণাল। এটা কি তথ্যগোপন নয়? প্রশ্ন তোলেন তিনি।


এদিন কুণাল জানান, প্রধানমন্ত্রীর দফ ওয়েবসাইটে পরিষ্কার ভাবে লেখা রয়েছে, ২০০৯ সালে শিশিরের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৫ লক্ষ টাকা, ২০১১ সালে ১৬ লক্ষ টাকা দেখানো হয়, ২০১২ সালে ১০ কোটির বেশি সম্পত্তি দেখানো হয়। এক বছরে ১০ কোটির বেশি আয় বাড়ে কী করে? এক বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি এল, জানতে চান কুণাল। হিসেবে গন্ডগোল থাকলে সংশোধন করালেন না কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন।


কুণাল বলেন, "এক বছরে ১০ কোটি টাকা এল কোথা থেকে? তার পরের বছরগুলিতে আবার রাতারাতি কম দেখান, ৩ কোটি, ১ কোটি...সেই টাকা কোথায় গেল? কাদের দিলেন? মানুষ জানতে পেরে যাবে অধিকারীদের কোটি কোটি টাকা আছে, সেই কারণেই কি চুপিচুপি সরিয়ে চার বছর পর তিন কোটি দেখাচ্ছেন? শিশির অধিকারীর সম্পত্তিবৃদ্ধির যে নথি, লোকসভার রেকর্ডে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটেও রয়েছে। উনি আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেই পারেন। কিন্তু হিসেব দিতে হবে। ওঁর ছেলে সকলের দিকে আঙুল তুলছেন, আগে বাবার কাছে হিসেব চান।"


আজ শুধু শিশিরের চূড়ান্ত অসঙ্গতি সামনে আনলেন, আগামী দিনে বাকিদের তথ্যও সামনে আনবেন বলে জানান কুণাল।  শিশিরের সম্পত্তি সংক্রান্ত এই তথ্য কোথায় পেলেন, তা জানতে চাওয়া হলে কুণাল জানান, সরকারি সূত্র থেকেই পেয়েছেন তাঁরা। এডিআর থেকে তথ্য পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা থেকেও মিলেছে তথ্য। এছাড়া মনমোহন সিংহ যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, মন্ত্রীদের কাছ থেকে বার্ষিক সম্পত্তির হিসেব চাইতেন তিনি স্বচ্ছতার লক্ষ্যে। সেই হিসেবও রয়েছে। ২০১১ এবং ২০১২ সালের যে হিসেব দিয়েছিলেন শিশির, সেটি সরকারি ওয়েবসাইটে রয়েছে। এর জবাবে এবিপি আনন্দে শিশির জানান, সারদায় জেলখাটা কুণালের কোনও কথার জবাব দেওয়ার তাগিদ নেই তাঁর।