কলকাতা : বেটিং অ্যাপ মামলায় এবার ইডি দফতরে হাজিরা অঙ্কুশ হাজরার। দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হলেন অভিনেতা। গতকাল অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এদিকে সামনে আসতে চলেছে এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীর সিনেমা রক্তবীজ-২। সেই প্রসঙ্গ তুলে এবার খোঁচা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

Continues below advertisement

কুণাল বলেন, "মিমি চক্রবর্তীকে ED-র তলব যেটা এটা তো আইনের বিষয়। আইন আইনের পথে চলবে। এই সময় হঠাৎ, CB-ED এদের ব্যবহার করে, এভাবে ডেকে পাঠানো, আমার তো আবার অন্যরকম মনে হচ্ছে যে, রক্তবীজ-২ এর প্রোমোশন চলছে। রক্তবীজ-২ তে মিমি নায়িকা। অঙ্কুশ হচ্ছে ভিলেন। এ তো শিবপ্রসাদ ওদের তো উচিত, প্রিমিয়ারে ED-কে আমন্ত্রণ জানানো।"

মিমি চক্রবর্তী, অঙকুশ হাজরা এবং ঊর্বশী রাউতেলা। না, একসঙ্গে কোনও ছবিতে নয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের স্ক্য়ানারে। সোমবারই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার সকাল ১০.৫০ নাগাদ নথিপত্র এবং আইনজীবীকে নিয়ে দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে পৌঁছে যান প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ এবং অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সকাল ১১টা নাগাদ মিমি চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। রাত ৮টা নাগাদ ED অফিস থেকে বেরোন তিনি। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। শুধু অবশ্য় মিমি চক্রবর্তী নয়। এই একই মামলায় ED-র নজরে রয়েছেন অভিনেতা অঙকুশ হাজরা।

Continues below advertisement

এদিকে, দিল্লিতে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ এবং অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে যখন ED জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তখন এরাজ্য়ে তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'দেখুন, আমি ওনাকে বলব যে, যখনই ওনাকে তদন্তকারী সংস্থা ডাকবে, উনি গিয়ে, উনি যতটা জানেন, ততটা বলবেন। পশ্চিমবঙ্গের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যেটাকে আমরা টলিউড নামে চিনি, টলিউডের মাধ্য়মে যে কালো টাকা যে সাদা করা হয়, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। সেক্ষেত্রে যে সিন্ডিকেট কাজ করে, আপনারা ভাল জানেন।'

এর আগে এই বেটিং অ্য়াপ-কাণ্ডের তদন্তে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধবন এবং সুরেশ রায়নাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সোমবার মিমি চক্রবর্তীকে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। এবিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য় মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।মেসেজেরও উত্তর দেননি।  ED-র তলব নিয়ে কিছু বলতে চাননি।