কলকাতা: কুণাল ঘোষ (TMC Leader Kunal ghosh)-সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC MP Sudip Banerjee) কাজিয়ায় এবার নাম জড়াল বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের (BJP Councilor Sajal Ghosh)। কুণালের খেদ, 'সজল ঘোষ একটা স্বীকৃতি চেয়েছিলেন। সুদীপরা সেটা হতে দেননি।' সংযোজন, 'সজলকে দলে রাখতে শেষ চেষ্টা করেছিলাম। সজলকে দলে রাখতে চান না, আবার তাঁর বিরুদ্ধে জিততেও পারেন না। এই সমস্যাগুলো বিভিন্ন ওয়ার্ডে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়রা করে রাখছেন।' এর সঙ্গে আরও বললেন, 'সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বৈঠক করছেন। আমাকে ডাকছেন না।' 


কী বললেন কুণাল?
কুণাল ঘোষের বক্তব্য, 'আমার সঙ্গে সুদীপদার ব্যক্তিগত ভাবে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যেমন ধরুন,পাঁচ-ছ'দিন আগে অন্য ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন এই পার্টি অফিসে এসে ভিড় জমিয়েছিলেন। রাস্তা হয়ে যায় ওই ভিড়ে। সাংসদের কাছে গিয়ে ন্যায়বিচার না পেয়ে আমার কাছে এসেছিলেন।  এইগুলিতে সাংসদ রেগে যাচ্ছেন। এই যেমন ধরুন, ৫০ নম্বর কাউন্সিলর সজল ঘোষ। উনি স্বীকৃতি চেয়েছিলেন, সুদীপরা হতে দেননি। আমি সজলকে দলে রাখার একটি শেষ চেষ্টা করেছিলাম।' কুণাল আরও বলেন, 'আপনি (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) এত বড় নেতা। আপনি দলে সজলকে থাকতেও দেবেন না। অন্য দিকে আপনি ও আপনার স্ত্রী সজলকে হারাতেও পারবেন না। ...এটি আমার ব্যক্তিগত সমস্যা নয়।  কিন্তু চারপাশের সমস্যাগুলি যখন আসে, সুদীপদা জেলার বৈঠক করছেন আমাকে ডাকলেন না। ...এই বৈঠকে না ডাকার পিছনে জেলাজুড়ে থাকা কারণগুলি হচ্ছে আসল কারণ। ফলে আমি এগুলির মধ্যে আর থাকতে চাই না।' 
'সারা দিন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিথ্যা কথা বলেন। অত্যন্ত বিরক্তিকর। সাধারণের ভাষায়, অত্যন্ত হাড় জ্বালানো...তবে এই যে দুটি কথা বলেছেন, সেদুটি সত্যি কথা। এগুলিকে মিথ্য়া বলতে পারব না। উনিই শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা হতে দেননি', প্রতিক্রিয়া বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের। একই সঙ্গে অবশ্য় বললেন, 'আমার কাছে তৃণমূল কংগ্রেস অতীত...ওগুলি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার অবকাশও নেই। যা হয় ভালোর জন্য হয়। তৃণমূলের থেকে যে বেরিয়ে এসেছিলাম, সে জন্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। না হলে আমার গায়েও চোরের বদনাম থাকত।'


বিস্ফোরক কুণাল...
গত কয়েক দিন ধরেই দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন কুণাল ঘোষ। এদিনও সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, 'তদন্তের স্বার্থে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudip Banerjee) গ্রেফতার করা উচিত। যদি এজেন্সি এটা এড়িয়ে যেতে চায়, তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চেয়ে আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।' তবে এনিয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য ফোন করা হলে, তা ধরেননি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর দেননি হোয়াট্যসঅ্যাপেরও। 


আরও পড়ুন:এক টিকিটেই হাওড়া থেকে গোটা কলকাতা, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ভাড়ার তালিকা সামনে এল