জলপাইগুড়ি:  রাজগঞ্জের বাসিন্দা, গুলিতে আহত তৃণমূল নেতার মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।  


গত রবিবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে গণ্ডারমোড় এলাকায় একটি লটারির দোকানে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহম্মদ সোলেমান।  আচমকা বাইকে দুই দুষ্কৃতী এসে তাঁর মাথায় গুলি করে। গুলি ছিটকে জখম হন লটারি বিক্রেতাও।   আহত তৃণমূল নেতাকে প্রথমে শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আজ সকাল ৬টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। 

আরও পড়ুন :


ত্রিপুরায় ধুন্ধুমারের মাঝেই মেদিনীপুরে শুভেন্দুর গাড়ি ঘিরে 'কুরুচিকর স্লোগান', আজ প্রতিবাদ কর্মসূচি বিজেপির


রবিবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে রাজগঞ্জ ব্লকের গণ্ডারমোড় এলাকায়।  পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহম্মদ সোলেমান দলীয় কাজ সেরে একটি লটারির দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন।  অভিযোগ, সেই সময় দুজন বাইক আরোহী মাথায় টুপি, মুখে মাস্ক পরে দোকানে এসে আচমকা তৃণমূল নেতাকে গুলি করে।  তিনি লুটিয়ে পড়েন। গুলিতে আহত হন লটারির দোকানের মালিকও। দু’জনকেই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।


 রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের দাবি, দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত হয়েছেন মহম্মদ সোলেমান।  পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান। 


অন্যদিকে, রবিবারই ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটায় বাড়ির সামনেই যুব তৃণমূল নেতাকে গুলি করার পর এসএসকেএম হাসপাতালে আনার পর গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবার দাবি করে. গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন। ১১ জনকে আটক করে ক্যানিং থানার পুলিশ। নিহত যুব তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির নাম মহরম শেখ। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ অটোয় চড়ে আসা ৫-৬ জন দুষ্কৃতী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যুব তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। যুব তৃণমূল নেতার মাথায়, কাঁধে গুলি লাগে। আরেকটি গুলি বুক এফোঁড়-ওফোঁড় করে চলে যায়। রফিক শেখ ও মিয়া রবের নেতৃত্বে হামলা চলে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযুক্তরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেন নিহত যুব তৃণমূল নেতার স্ত্রী।