কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : হঠাৎ দিল্লিতে মুকুল রায় ! দিল্লি বিমানবন্দরে মুকুল রায়ের ( Mukul Roy )  ছবি ভাইরাল । কোন উদ্দেশে তিনি দিল্লিতে ? এই প্রশ্ন ঘিরেই এখন সরগরম বাংলার রাজনীতি। সূত্রের দাবি, 'সন্ধ্যার বিমানে ২ সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লি যাত্রা করেন মুকুল। গতকাল সন্ধে পৌনে ৭টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছন মুকুল রায়। 'নিরাপত্তারক্ষীদের বাইরে রেখে ২ জনকে নিয়ে ঢুকে যান ভিতরে। 'ইন্ডিগোর বিমানে মুকুলের টিকিটের নম্বর ছিল 6 E898।'


এর  কিছুক্ষণ পর, বিমানবন্দরে হাজির হন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। বাবাকে বিমান থেকে নামিয়ে দিতে থানায় লিখিত অনুরোধ করেন শুভ্রাংশু। কিন্তু ততক্ষণে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় ইন্ডিগো-র বিমান। দাবি সূত্রের।
 
কেন দিল্লি গেলেন মুকুল?


সূত্রের খবর, রাত পৌনে ১০টা নাগাদ দিল্লিতে নামে বিমান। রাত ১০টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বেরোতে দেখা যায় মুকুল রায়কে। ছেলেকেও না জানিয়ে দিল্লি যান মুকুল! হঠাৎ কাউকে না জানিয়ে কেন দিল্লি গেলেন মুকুল? এই প্শ্ন যখন রাজনীতির অন্দরমহলে তোলপাড় তুলেছে তখনই সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি বললেন, মুকুল রায়ের মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নয় !


সাংবাদিক বৈঠকে বসে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন শুভ্রাংশু। 'দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারবেন না। মুকুল রায় মানসিক ভাবে সুস্থ নয়', বললেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, 'একজন অসুস্থ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদনাম করার জন্য রাজনীতি করা হচ্ছে'। 


'বাবা সুস্থ নয়'


সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল-পুত্রও বলেন, 'বাবাকে বিমানবন্দর থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেছিলাম। সিআইএসএফ কোনওরকম সাহায্য করেনি। বাবার দিল্লিযাত্রার পিছনে বড় কোনও টাকার খেলা হয়েছে। আমাকে না জানিয়েই ২ সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লি গেছেন বাবা। মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, বাবা সুস্থ নয়। কাল মুখ্যমন্ত্রী নিজে ২ বার বাবার খবর নিয়েছেন। একজন সুস্থ মানুষের বিজেপিতে যোগদান আর অসুস্থ মানুষের বিজেপিতে যোগদানে পার্থক্য আছে'। 


এরপর আরও বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। বলেন, 'কাল কোনও এজেন্সি একটি ছেলের মাধ্যমে বাবার হাতে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাবার এখন মাসিক আয় ২১ হাজার টাকা। সুতরাং তাঁর দিল্লি যাওয়া ও সঙ্গীদের খরচ বহন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। একজন অসুস্থ মানুষকে কোনওদলে যোগদান করাতেই পারে। ২০২১ সালেও মুকুল রায় বিজেপিতে ছিলেন, তাতে তৃণমূলের কোনও ফারাক পড়েনি। বাবার ফোনের সুইচ অফ, কেউ ফোন নিয়ে নিয়েছে কিনা জানি না'