কলকাতা: জাতীয় দলের স্বীকৃতি হাতছাড়া হয়েছে একদিন আগেই। ফের বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) এক সাংসদ হাতছাড়া হল তাদের। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লুইজিনহো ফালেইরো (Luizinho Faleiro)। মেয়াদ শেষ হতে এখনও তিন বছর সাত মাস বাকি ছিল তাঁর। তার ঢের আগেই পদত্যাগ করলেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনকড়। যদিও ফালেইরোর ছেড়ে যাওয়াই আসনে পছন্দের প্রার্থী দিতে পারবে তৃণমূল।


তৃণমূলের একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দলের অনুশাসন মানেননি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফালেইরোর কাছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে গিয়েছে বার্তা। নিজে থেকে নয়, তৃণমূলের নির্দেশ মতোই লুইজিনহোই পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। গোয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধ বাধে তাঁর। গোয়ায় ভরাডুবির পিছনে লুইজিনহোর ভূমিকা নিয়ে কানাঘুষো চলছিল দলের অন্দরে।


২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন


দু'-দু'বার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লুইজিনহো। ২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তার দু'মাসের মধ্যে তাঁদের রাজ্যসভায় পাঠায় জোড়াফুল শিবির।দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে লুইজিনহোকে সাংসদ করে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। ৭১ বছরের সেই লুইজিনহোই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। সরাসরি ধনকড়ের হাতে পদত্য়াগপত্র জমা দেন তিনি। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।


লুইজিনহোর ছেড়ে দেওয়া আসনে শীঘ্রই প্রার্থী ঘোষণা করবে তৃণমূল।সংসদের উচ্চকক্ষে তিন বছর কাটাতে পারবেন তিনি, লুইজিনহোর মেয়াদ বাকি ছিল যতদিন। ফালেইরোর জায়গায় কাকে আনা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নির্দিষ্ট দিন ক্ষণ জানতে পারলেই জোড়াফুলের তরফে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।



আরও পড়ুন: AAP National Party Status: আদালতে যেতেই মিলল স্বীকৃতি, জাতীয় দল হয়ে ’২৪-এর দৌড়ে এগিয়ে গেল AAP


গোয়া বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যসভার সাংসদ করে তৃণমূল


কংগ্রেসে থাকাকালীন উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন লুইজিনহো। ২০২১ সালে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় কংগ্রেস থেকে অনেকেই তাঁর হাত ধরে জোড়াফুলে যোগদান করেন। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও অনুরোধ জানানো হয় দলের তরফে। কিন্তু রাজি হননি লুইজিনহো। সেই নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধও দেখা দেয় বলে খবর সামনে আসে।