সুদীপ চক্রবর্তী, ইসলামপুর (উত্তর দিনাজপর): দলের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। বললেন, নেত্রীর আমাকে এখন আর প্রয়োজন নেই, তাই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। হুঙ্কার দেওয়া ওঁর অভ্য়াসে পরিণত হয়েছে, পাল্টা মন্তব্য় করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। শাসকদলের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। 


ইসলামপুরের আব্দুল তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক করিম চৌধুরীর কথায়, ১১ বার জিতেছি আমি। মমতা ব্য়ানার্জি এরকম করে সম্মানীয় নেতাকে অসম্মান করার জন্য় ছেড়ে দেবে এটা ঠিক না। 


নিজেকে বিদ্রোহী ঘোষণা করেছিলেন আগেই! এবার সরাসরি দলনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। 


ইসলামপুর তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী এদিন আরও বলেন, আমি কালকে শুনলাম কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে আবার প্রেসিডেন্ট করে দিয়েছে। কেন প্রেসিডেন্ট করল ওকে আবার? করিম চৌধুরীকে হয়রান করবে, অপমান করবে, অসম্মান করে চলে যাবে। সেই কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে, জাকির হোসেনকে তারা আমার লোকদের খুন করে দেয়। আমাকে বিধানসভায় ডাকা হয়েছে, আমি যাচ্ছি না কিন্তু। ইসলামপুরের লোক মরবে, ঘর ছাড়া হয়ে থাকবে, আমি বিধানসভায় যোগ দিতে যাব? 


উত্তর দিনাজপুরের রাজনীতিতে আবদুল করিম চৌধুরী এবং কানাইয়া লাল আগরওয়ালের দ্বন্দ্ব কারও অজানা নয়। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ইসলামপুর আসনটি দখল করেছিল কংগ্রেস। এমনকী ইসলামপুর পুরসভাও ছিল কংগ্রেসের দখলে। বিধায়ক হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দেন তৎকালীন বিধায়ক এবং পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল। এর পরেই কানাইয়ার সঙ্গে বিরোধের জেরে দল ছেড়ে দেন আবদুল করিম চৌধুরী। পরে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। 


এবার সেই দ্বন্দ্বই ফের মাথাচাড়া দিল। কানাইয়ালাল আগরওয়ালের প্রসঙ্গ টেনে, ক্ষোভ উগরে দিলেন আবদুল করিম চৌধুরী। তবে এটা প্রথমবার নয়, এর আগে, পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করা নিয়ে খোদ তৃণমূলনেত্রীকেই চ্য়ালেঞ্জ করেছিলেন আব্দুল করিম চৌধুরী। 


আব্দুল করিম চৌধুরী এদিন কার্যত নাটকীয় সুরেই বলেন, মমতাদি প্লিজ, আপনাকে ডিরেক্ট রিকোয়েস্ট করছি ফ্রম ইসলামপুর, আপনি কোনওরকমের ইসলামপুরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবেন না। আমার সমান অধিকার আছে, যেটা আপনার আছে।  সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূল বিধায়কের এই বেসুরো সুর বিরোধীদের বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেবে না তো?