উত্তর দিনাজপুর : ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ । রামনবমীর ( Ram Navami ) মিছিল ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, উত্তর দিনাজপুরের ( North Dinajpur, Dalkhola ) বেশ কিছু এলাকা। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতি। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা-সহ কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনা নিয়ে ওই বছরেরই ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তারপর আরও একটা রামনবমী প্রায় এসেই গেল। এবার সেই রামনবমীর অশান্তির মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ।
রামনবমীতে অশান্তি পাকানোর অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গত বছর ৩০ মার্চ ডালখোলায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে প্রবল অশান্তি সৃষ্টি হয়। সেই ফুটেজ দেখে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ । উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির গটনায় পুলিশের এফআইআরে ১৬২ জনের নাম রয়েছে। এপ্রিলে অশান্তির মামলার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। তদন্ত শুরু করে ৬টি মামলা দায়ের করে এনআইএ ।
হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা। রাজ্য়ের তিন জেলার তিনটি পৃথক জায়গায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি বাঁধে। এই তিনটি ঘটনারই তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA-র হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনাটি ঘটে ৩০ শে মার্চ। রামনবমীর দিনই। রামনবমীর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার জিটি রোড চত্বর। পুলিশের গাড়ি থেকে বাস, টোটো, অটো, দাঁড়িয়ে থাকা মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওইদিনই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলাতেও রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি বাধে। থানার সামনে রাখা গাড়ি ও বাইকে ভাঙচুর চালানো হয়। কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।এর ঠিক ২ দিন পর, ২ এপ্রিল হুগলির রিষড়ায় রাম নবমী কেটে যাওয়ার পরও ফের অশান্তি বাধে। ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, আগুন! বাদ যায়নি কিছুই। দেখা যায়, একদিন নয়, প্রতিটা জায়গাতেই কার্যত ২-৩ দিন ধরে দফায় দফায় অশান্তি হয়। এই ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। ওঠে NIA তদন্তের দাবি। একমাসের মধ্য়েই, শিবপুর, রিষড়া ও ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায়, NIA তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২ সপ্তাহের মধ্যে NIA-কে সমস্ত নথি হস্তান্তরের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও বলুন :