ভরতপুর : একদিকে এসআইআর ইস্যুতে সমানে সরব হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে SIR শুরুর অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছিল হুমকি-হুঁশিয়ারির পালা। মঙ্গলবার SIR শুরুর দিনে তা নিয়ে সরব হন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আজও তিনি নিশানা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। দলের এহেন অবস্থানের মধ্যেই SIR নিয়ে বেসুরো ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সৌগত রায়, অনুব্রত মণ্ডলের সুরে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে হুমায়ুন কবীর বললেন, "আমাদের আপত্তির কী আছে ? করুক এসআইআর। ভালভাবে হোক। প্রকৃত ভোটার যেন বাদ না যায়।"

Continues below advertisement

তাঁর কথায়, "ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সতর্ক করারও কিছু নেই। সবাইকে একটু...আমাদের যে নাম ছিল সেই প্রকৃত ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়। তারপরে আরও সুযোগ আছে তো। একমাস খসড়া তালিকা পঞ্চায়েতে টাঙানো থাকবে। তখন যদি কোনও বৈধ ভোটারের নাম না ওঠে, তাহলে তো আবার সুযোগ আছে ফর্ম ফিলআপ করার। কাজেই অত আতঙ্কের কিছু নেই। সমস্যার কিছু নেই। মুর্শিদাবাদ জেলায় এসআইআর চালু হয়েছে। ১২টা রাজ্যে হচ্ছে। আমাদের আপত্তির কী আছে ? করুক এসআইআর। ভালভাবে হোক। প্রকৃত ভোটার যেন বাদ না যায়। বৈধ ভোটার বাদ গেলে যেই অফিসার থাক তাঁকে কিন্তু আমরা ঘিরব।"

একই সুরে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, "এসআইআর চালু হোক না। অসুবিধা কী আছে ? এসআইআর চালু হলে তো ভাল হবে। কোনও সমস্যা নেই। ভালই হবে। খারাপ কী হবে।" 

Continues below advertisement

একই রকম মন্তব্য শোনা গেছিল সৌগত রায়ের গলাতেও। তিনি বলেছিলেন, স্পেশাল ইনটেন্সিভ রিভিশন হবে, তার মানে ভোটার তালিকাটা কিছুটা সংশোধন হবে। সে নিয়ে আপত্তির কিছু থাকতে পারে না। ভোটার লিস্টে যদি, স্পেশান ইনটেন্সিভ রিভিশন হয়, তাতে আপত্তি থাকবে কেন ?"

SIR শুরুর আগেই, নাম না করে, মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারকে (Chief Election Commissioner) নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর পশ্চিমবঙ্গে SIR শুরুর দিনে, একেবারে নাম করে মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আজ নয় কাল, সরকার কিন্তু বদলাবে জ্ঞানেশবাবু। দেশ ছেড়ে পালাবেন না। বিজেপি থাকবে না। দেশের সংবিধানটা থাকবে। অমিত শাহ থাকবেন না, দেশের সংবিধানটা থাকবে। যেখানে যাবেন খুঁড়ে নিয়ে আসব। জবাবদিহি মানুষের কাছে দিতে হবে।" SIR Second Phase