মুর্শিদাবাদ : তাঁর বাড়ি, কারখানা, অফিসে হানা দিয়ে কুবেরের ধন উদ্ধার করেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। উদ্ধার হওয়া প্রায় ১৫ কোটি কার, তা নিয়ে ঘুরছে প্রশ্ন। এর মাঝেই কেন্দ্রীয় সংস্থার হানা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন জাকির হোসেন। যে প্রসঙ্গে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরও। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে জাকির হোসেন ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করা থামাচ্ছে না বিরোধীরা।


'ক্রিমিনাল নই, দেশদ্রোহীও নই'


রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়কের আক্রমণ, 'আমি ক্রিমিনাল নই, দেশদ্রোহীও নই। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন এমএলএ। আয়কর আসতেই পারে, তাতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু তাঁদের আসার ধরণ নিয়ে রয়েছে।'


আয়কর দফতরকে আগেও সবরকম সাহায্য করলেও তাঁদের তরফে অসহযোগিতা দেখানো হয়েছে বলেই অভিযোগ জাকির হোসেনের। তার কথা, 'আমাকে তো সময়ই দিলেন না। ওঁরা যেটা বলছে সেটাই করতে হবে। এই জিনিসটা ঠিক নয়। আমি সবসময়ই বিভিন্ন অফিসারদের সঙ্গে সহযোগদিতা করেছি। কখনও আসা করিনি এভাবে তাঁরা রেড করবে।' জানা গিয়েছে, বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার প্রসঙ্গে জাকির হোসেনের দাবি, তাঁর ব্যবসায় অনেক কর্মচারী কাজ করেন, তাঁদের বেতন দেওয়ার জন্যই অর্থ রাখা ছিল বিভিন্ন জায়গায়।


পাশে দল, আক্রমণে বিরোধীরা


গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের পাশেই দাঁড়িয়েছে দল। ঘাসফুল শিবিরের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির প্রসঙ্গ সামনে তুলে ধরা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'এঁর খুব বড় ব্যবসা। আর কেন এত টাকা উদ্ধার হয়েছে সে নিয়ে ও (জাকির হোসেন) আয়কর দফতরকে উত্তর দেবে, আমাকে বা অন্য কাউকে বলার দরকার নেই তো।' যে প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'উনি তো ছোট নেতা, এমএলএ। মন্ত্রীপদেও সুযোগ পাননি। তাতেই প্রায় ১৫ কোটিয তৃণমূলের যুবনেতা ১৯ কোটি। যেটা বলছিলাম, সেটা ঠিক প্রমাণিত হচ্ছে। যত বড় নেতা তত বড় লুঠ। মানুষ সর্বস্বান্ত আর লুঠেরার পার্টিতে পরিণত হচ্ছে তৃণমূল।' বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার কটাক্ষ, 'টাকা উদ্ধারের পরও তৃণমূল নেতারা যদি সাফাই গান, তাহলে ধরে নিতে হয় এটা সংগঠিত অপরাধ।'



আরও পড়ুন- তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে 'কুবেরের ধন', ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করল আয়কর দফতর