শান্তনু নস্কর, কুলতলি: হরিণের (deer) চামড়া-সহ (skin) গ্রেফতার (arrest) দুই। কুলতলির (kultali) ঘটনা। ধৃতদের নাম সুন্দর নস্কর ও কানাই দাস। আজ দুজনকে বারুইপুর আদালতে (baruipur court) তোলা হবে। 


কী জানা গিয়েছিল?
গোপন সূত্রে বিষয়টি সম্পর্কে খবর পেয়েছিল কুলতলি থানার পুলিশ। তার পরই কুলতলির কৈখালি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতার হন সুন্দর নস্কর ও কানাই দাস। তাঁদের কাছ থেকে হরিণের চামড়াও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। আজ দুজনকে বারুইপুর আদালতে পেশ করার কথা। রাজ্যে হরিণের চামড়া উদ্ধার হওয়ার ঘটনা একেবারে বিরল নয়। বছরদুয়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনারই মন্দিরবাজার থেকে দুজনকে পাচারকারী সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেবার ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়েছিল বন দফতর। দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে তারা। উদ্ধার হওয়া হরিণের চামড়ার বাজার দর প্রায় কোটি টাকা বলে জানা যায়। এর পর, ২০২১ সালের নভেম্বরে জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়ি বাইপাস থেকে হরিণের চামড়া ও প্যাঙ্গোলিনের আঁশ সহ-এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২ জন অবশ্য পালিয়ে যায়। ধৃত ব্যক্তি অসমের তেজপুরের বাসিন্দা বলে উঠে আসে। শুধু হরিণ নয়, কচ্ছপ-সহ নানা ধরনের প্রাণীর মাংস ও দেহাংশ চোরাচোলানের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায় রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে।


বিরল প্রজাতির কচ্ছপ 'চোরাচালান'...
গত বছর মে মাসের কথা। পাচারের আগেই প্রায় সাড়ে পাঁচশো বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার ঘিরে হইচই পড়ে যায় ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকায়। গ্রেফতার করা হয় দুই পাচারকারীকে। বন দফতর সূত্রে খবর,,ভিনরাজ্য থেকে পাচার হয়ে আসা বিপুল পরিমাণে বিরল প্রজাতির কচ্ছপই উদ্ধার হয়েছে চারঘাট এলাকা থেকে। খবর পাওয়া গিয়েছিল, গোপন সূত্রে বন দফতরের কাছে খবর আসে যে ভিনরাজ্য থেকে পাচার হয়ে আসা বিপুল পরিমাণে কয়েক লক্ষ টাকার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য মজুত করা হচ্ছে। এর পরই বারাসাত, বনগাঁ ও বসিরহাটের বন দফতরের আধিকারিকরা একসঙ্গে গোপন অভিযান চালান। আজ ভোর চারটে নাগাদ তাঁরা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। গোপন অভিযানে উদ্ধার হয় বাইশ বস্তা কচ্ছপ, যার ওজন প্রায় এক টনের উপর। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত শুরু করে বন দফতর।


আরও পড়ুন:তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে 'কুবেরের ধন', ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করল আয়কর দফতর