কলকাতা: প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা চলে যেতেই ফের চেনা ভঙ্গিতে দেখা গেল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। সানগ্লাসে চোখ ঢেকে, হাসিমুখে হাজির হলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। জানালেন, তাঁর বাড়ি থেকে কিছু বাজেয়াপ্ত করেনি CBI. পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে। বরং তাঁর ক'জন স্ত্রী জানতে চাওয়া হয়েছিল। (Madan Mitra)


পৌরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রবিবার সকালে মদনের ভবানীপুরের বাড়িতে হানা দেয় CBI. প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ।  কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বেরিয়ে যেতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন মদন। তাঁকে CBI কী প্রশ্ন করল, জানতে চান জনৈক সাংবাদিক। (CBI Raids)


উত্তরে মদন বলেন, "সত্যি বলব কী জিজ্ঞেস করল CBI? জিজ্ঞেস করল, 'আপনার একটা বউ না দু'টো'? আমি বললাম, খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে। জিজ্ঞেস করেছে। আমি বলেছি বউ অর্থে হয়ত বলতে পারব না। তবে আমি হাঁটলে, পিছনে ৫০ জন গোপিনী হাঁটবে। আমার নামে ৪৯৮ হয়নি। আমার সব ভার্চুয়াল। কৃষ্ণের এত বান্ধবী থাকতে পারে, আর আমার থাকতে পারে না!"


আরও পড়ুন: Madan Mitra: ‘আমি মদন মিত্র, বুকের পাটা ফুলিয়ে বলছি...মোদিজি যাচ্ছেন,’ CBI হানার পর বললেন মদন


পৌরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এদিন মদনের বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু কোন পৌরসভায় নিয়োগ নিয়ে মদনকে জিজ্ঞাসাবাদ, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি? এই প্রশ্নের উত্তর তাঁর কাছেও নেই বলে জানান মদন। শুধু ওই মামলারই তদন্ত বলে গোয়েন্দারা তাঁকে জানান এবং কিছু যে বাজেয়াপ্ত হয়নি তা লিখেও দিয়ে যান বলে জানিয়েছেন মদন। 


নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু-কয়লা পাচারে একের পর এক তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়েছে এখনও পর্যন্ত। সেই নিয়ে কিছু দিন আগেও শ্লেষ দেগেছিলেন মদন। তাঁর দাবি ছিল, CBI-ED না এলে, নেতা হিসেবে জাতে ওঠা যায় না। এদিন আবারও প্রশ্ন করলে মদন বলেন, "আমার মুখ দেখুন! গ্ল্যামার বেড়ে গিয়েছে। ছ'মাসে এত ক্যামেরা পাইনি। আফশোস, একটু ভাল করে খাওয়াতে পারলাম না ওঁদের। পাঠান অভি জিন্দা হ্যায়, টাইগার অভি মরা নহি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিয়েছেন।"


নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের কাছ থেকেই প্রথম পৌরসভা দুর্নীতির বিষয়টি উঠে আসে বলে জানা যায়। কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যানকেও সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু মদন এসবকে যুক্তিগ্রাহ্য বলে মনে করছেন না। তাঁর দাবি, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বন্ধুর নাম ছিল মতি শীল। সেই নিরিখে তাঁর বাড়িতেও তদন্ত চালাতে হয়।