কলকাতা: ষড়যন্ত্রের কথা বলায় আগেই সতীর্থদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। এ বার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ষড়যন্ত্রের দাবি নিয়ে মুখ খুললেন কামারহাটির তৃণমূল (TMC) বিধায়ক মদন মিত্রও (madan Mitra)। তাঁর মতে, বার বার হেঁয়ালি না করে আসল সত্য প্রকাশ করে দেওয়া উচিত পার্থর। মদনের মতে আজ না হোক কাল, আসল সত্য বেরিয়ে আসবেই। তাই গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি বোঝা উচিত পার্থর। টাকা কোথা থেকে এল বলে দেওয়া উচিত।
হেঁয়ালি ছাড়ুন পার্থ, মত মদনের
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পার্থর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নিয়েছে তৃণমূল। একে একে মন্ত্রিত্ব গিয়েছে তাঁর। খোয়া গিয়েছে দলের পদও। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার পার্থকে নিয়ে মুখ খোলেন মদন। তিনি বলেন, ‘‘আমি এমন কয়েদি দেখেছি যে ৩৬ বছর পরও মুক্তি পায়নি। তাই এটুকুই বলব যে, পার্থ আস্তে আস্তে নিজেকে ধাতস্থ করে, সমস্ত জিনিসটাকে গুরুত্ব দিয়ে বুঝে সত্যটা বলে দিক। হেঁয়ালি না করে, বার বার ষড়যন্ত্র আছে না বলে, ষড়যন্ত্র বলে কিছু আছে কিনা, কী ঘটেছে, কী ছিল না ছিল বলে দিক। টাকা যদি সত্যিই ওর না হয়, কে ওকে দিল, এগুলো বলতেই পারে। আজ না হয় কাল সত্যি তো বেরোবেই।’’
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নাম জড়ানোর সময় থেকেই দলের ভিতরে, বাইরে লাগাতার প্রশ্নের মুখে পড়েছেন পার্থ। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) হাত থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর যত সময় এগিয়েছে, ততই পরিস্থিতি ঘোরাল হয়েছে। পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) একাধিক ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ, গহনা, বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে। এমনকি দু’জনের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। যৌথ ভাবেও সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তাঁদের। এমনকি দু’জনের নামে সংস্থার খোঁজও মিলেছে।
পার্থ যদিও অর্পিতার সঙ্গে সমীকরণের কথা অস্বীকার করেছেন। ওই টাকা তাঁর নয় বলে জানিয়েছেন। কিন্তু দু’জনের যৌথ সম্পত্তি, অর্পিতার বিমায় নমিনি থাকার সদুত্তর মেলেনি তাঁর কাছ থেকে। বরং তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। তাতে তৃণমূলের নেতাদের তোপের মুখেও পড়েছেন তিনি। ক’দিন আগেই বিধায়ক তাপস রায় তাঁকে একহাত নেন। নিজে সারাজীবন ষড়যন্ত্র করেছেন বলে আজ সবকিছুতে ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন বলে পার্থকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি।
ঘরে-বাইরে তীব্র সমালোচনার মুখে পার্থ
তবে এতকিছুর মধ্যেও নিশ্চুপ পার্থ। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না হলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। অন্য দিকে, পার্থর আইনজীবী জানিয়েছেন, এখনও দল এবং নেত্রীর উপর আস্থা রয়েছে তাঁর। বিধায়ক পদ থেকেও অব্যাহতি চান না তিনি।