মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পাণ্ডবেশ্বর: নির্বাচনের সময় একে অপরের বিরুদ্ধ লড়াই করলেও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সৌজন্যের নজির আজও দেখা যায়। শুক্রবার যেমন দেখা গেল পাণ্ডবেশ্বরে (Pandaveswar)। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক বর্তমানে জেলা সম্পাদক-কে জড়িয়ে ধরলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ও জেলা সভাপতি। 


যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের সেনাপতিদের সৌজন্য সাক্ষাতের সাক্ষী হলে সাধারণ মানুষ। আর দুই নেতা হাত মিলিয়ে জড়িয়ে ধরলেন একে অপরকে। গল্প করলেন জমিয়ে। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের এমন দৃশ্য দেখে বিস্মিত এলাকাবাসী।


শুক্রবার সিপিএমের তহবিলের জন্য পাণ্ডবেশ্বরের চনচনি এলাকায় চাঁদা আদায় করছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় সহ সিপিএম কর্মীরা। তখনই কালো গাড়ি এসে থামল সেখানে। গাড়ি থেকে নেমে এলেন পাণ্ডবেশ্বরের  তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। হাত মেলালেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে। তারপরই দু'জনে মিলে খেলেন ছোলা ভাজা। কিছুক্ষণ ধরে জমিয়ে গল্পও করলেন। দু'জন দু'জনের শরীরের খোঁজখবর নিলেন। তারপরই সেখান থেকে চিকিৎসা করাতে দুর্গাপুরের বিধান নগরের উদ্দেশে রওনা দেন নরেন্দ্রনাথবাবু। 


সিপিএমের পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন,"আমরা তহবিলের জন্য মাঝে মাঝেই চাঁদা আদায় করি। আজও তাই করছিলাম। হঠাৎ দুটো কালো গাড়ি এসে থামল। প্রথমে বুঝতেও পারিনি কী জন্য থামল। তারপরই গাড়ি থেকে বেরোতেই বুঝতে পারলাম পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর গাড়ি। আমিও একসময় এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলাম নরেন্দ্রনাথবাবু এখন বিধায়ক। দু'জনে একসঙ্গে গল্প করলাম। খুব ভালো লাগল। এমনই হওয়া দরকার।" 


এদিকে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন,"আমি সিপিএমের নেতাকে জড়িয়ে ধরিনি। আমি গৌরাঙ্গদা যিনি বিধায়ক ছিলেন একসময় তাঁকে জড়িয়ে ধরেছি। অনেকদিন দেখা হয়নি, কথা হয়নি আজ কথা বললাম। কুশল বিনিময় করলাম। এরকমই রাজনৈতিক সৌজন্যের প্রয়োজন।"


সৌজন্যের এই সাক্ষাৎ দেখে আপ্লুত সাধারণ মানুষও। তাঁদের কথায়, রাজনীতির লড়াই থাকলেও আমরা রাজনৈতিক নেতাদের এভাবেই দেখতে চাই। রাজনীতির লড়াই তো আর সারাজীবন চলতে পারে না। একে অপরের প্রতি ভালো ব্যবহারই সারাজীবন থেকে যায়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Wetland illegal Construction Controversy : অবাধে চলছে জলাভূমি ভরাট, হইচই পড়ে যেতেই ঢাকা হল আর্থমুভার, এবিপি আনন্দ-র ক্যামেরা দেখতে যা হল ...