কলকাতা: ‘আদালতে (court) না গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee) কাছে গেলেই সব সমস্যা মিটে যেত’, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে এবার মন্তব্য তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) নির্মল মাজির (nirmal maji)। সঙ্গে নাম না করে নিশানা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে (Bikash Ranjan Bhattacharjee)। আক্রমণ, 'বামপন্থী প্রাক্তন মেয়র কথায় কথায় মামলা করছেন। বিজেপি টাকার জোগান দিচ্ছে।'


কী বললেন নির্মল?
'দিদি বললেন, তোমাদের চাকরি দিয়ে দেব। তোমরা শুনলে না। তোমরা বামপন্থী প্রাক্তন মেয়র, নাম বলছি না, কথায় কথায় কেস দিচ্ছেন, বিজেপি জোগান দিচ্ছে।...যদি দিদির উপর ছেড়ে দিত, সরকারের উপর ছেড়ে দিত অনেক আগে হয়ে যেত। এখন বিচারবিভাগের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি।আমাদের কিছু করার নেই', বললেন তৃণমূল বিধায়ক। পাল্টা জবাব দিয়েছেন সিপিএমের আইনজীবী সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বলেন, 'নির্মল মাজি নামটির সঙ্গেই দুর্নীতিগ্রস্ত কথাটি এক হয়ে গিয়েছে। নির্মল মাজি মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত, তৃণমূল মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত।' তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক কী ভাবে তাঁর মেয়ে, ছেলে এবং পুত্রবধূকে মেডিক্যাল কলেজে চাকরি ও সুবিধাজনক পোস্টিং দিয়েছেন সে ব্যাপারে সমস্ত তথ্য তাঁর কাছে রয়েছে। এর পরেই সংযোজন, 'প্রয়োজন মতো সব নিয়েই নাড়াচাড়া করব।' বিকাশরঞ্জন মনে করান, 'নির্মলবাবু ভুলে গিয়েছেন, চাকরি দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।' তাঁর মতে, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হলে আদালতে যাওয়ার প্রয়োজনই হবে না। সঙ্গে দাবি, নির্মল মাজি এমন এক ব্যক্তির নাম করলেন যিনি সরকারের কেউ নন।  

কটাক্ষ বিজেপির...
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। তাদের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মতে, 'নির্মল মাজি এক জন উচ্চমার্গের সাধক। ওঁর অতীতের মন্তব্য, বর্তমান অবস্থান ও ভবিষ্যতকে কোথায় নিয়ে যাবেন, তার জন্য ওঁর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট আধ্যাত্মিক ও মহাজাগতিক চিন্তাভাবনা ওঁর রয়েছে। মা সারদাকে দেখতে পান, উনি বিবেকানন্দকে দেখতে পান। ওঁর কর্মকাণ্ড চিকিৎসাজগৎকে, চিকিৎসকদের আপ্লুত করে রেখেছে।' এর পরই শমীকের দাবি, তৃণমূল বিধায়কের এহেন মন্তব্য জনমনে কতটা জায়গা পাবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে ১৪৪ দিনে পড়ল ২০১৪-র আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। পাশে থাকার বার্তা নিয়ে আজ ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে ধর্নামঞ্চে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কুমার রোহিত। প্রয়োজনে দিল্লি পর্যন্ত আন্দোলন নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 


আরও পড়ুন:বিশ্বকাপ জিতে পুরস্কার হিসাবে কত টাকা পাচ্ছেন বাটলাররা? ভারতের ভাঁড়ারে কত?