রণজিৎ সাউ, সল্টলেক: সড়ক দুর্ঘটনায় (accident) বাইকচালকের (motorbike driver) মৃত্য়ু নিউটাউনে (New Town)। মৃতের নাম বিমল হালদার বলে জানিয়েছে পুলিশ। বয়স ৪৮ বছর। তিনি নদিয়ার (nadia) কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানাচ্ছেন, একটি ডাম্পার তাঁর বাইকে  (Bike) একটি ধাক্কা মেরেছিল। পুলিশ ইতিমধ্যেই ডাম্পারের চালককে আটক করেছে।


কী ভাবে দুর্ঘটনা?
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, বিমল 'ওলা'-র হয়ে বাইক চালাতেন। সেই সূত্রেই আরোহী নিয়ে নিউ টাউন থেকে সল্টলেকের দিকে আসছিলেন। হঠাতই অ্যাক্সিস মলের আগে একটি ডাম্পার তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মারে। বাইক-আরোহীকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে বাইকের পিছনে যে যাত্রী ছিলেন, তিনি সুস্থ। কী ঠিক ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, ট্র্যাফিক আইন মেনে বাইক চলছিল না, ডাম্পারটির গাফিলতি কতটা, এটি স্রেফ দুর্ঘটনা নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


আগেও দুর্ঘটনা...
পথ-দুর্ঘটনার খবর নতুন নয়। গত অক্টোবরেও সল্টলেক সেক্টর ফাইভে পথদুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে কারও প্রাণ না গেলেও তিন জন আহত হয়েছিলেন। সিগনাল ভেঙে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে অপর একটি গাড়ি। আহত হন গাড়িতে থাকা এক মহিলা ও ২ পথচারী। দুটি গাড়ির চালককেই আটক করে পুলিশ। তার আগে আগস্ট মাসে খিদিরপুরে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের। পর দিন মৃতের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। ঘটনায় এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট। শোকজ করা হয় এক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও এক এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে। আগস্ট মাসেই মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলে দুর্ঘটনা ঘটে গাড়ি উল্টে আহত হন ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ভর্তি করা হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন সকাল ৮টা নাগাদ গাড়িটি পুণ্যার্থীদের নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বুরুল থেকে তারকেশ্বর যচ্ছিল। সম্প্রীতি উড়ালপুলে টায়ার ফেটে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে ২৫ জন পুণ্যার্থী ছিলেন। একই দিনে বৃষ্টিভেজা রাস্তায় ব্রেক কষতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে ই এম বাইপাসে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ছোট গাড়ি। তবে এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এছাড়াও রাজ্যের নানা প্রান্তে প্রায়ই কম-বেশি একই ধরনের ঘটনার খবর তোলপাড় ফেলে দেয়। কিন্তু প্রশ্ন একটাই। একটার পর একটা দুর্ঘটনা ও মর্মান্তিক পরিণতির খবর সত্ত্বেও কেন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না পরিস্থিতি? আমজনতার সচেতনতা বাড়ছে না নাকি প্রশাসনের যথেষ্ট নজরদারি নেই? 


আরও পড়ুন:বারাসাতে ইলিশ উৎসবে বিশৃঙ্খলা, খাবার না পেয়ে বিক্ষোভ