সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠল চন্দ্রকোণার (Chandrakona) তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) বিরুদ্ধে। অরূপ ধাড়ার 'বিতর্কিত মন্তব্যের' জেরে এলাকায় এর মধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। ঠিক কী বলেছেন তিনি?



কী ঘিরে বিতর্ক?
'আগামী দিনে তৃণমূল ছাড়া এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা থাকবে না, কোন কর্মী থাকবেন না। শুধু থাকবে তৃণমূল', অভিযোগ এমনই কথা শোনা গিয়েছে চন্দ্রকোণার তৃণমূল বিধায়কের মুখে। গত কাল অর্থাৎ সোমবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোণার কৃষ্ণপুর গ্রামে  অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মিছিলে আসেন অরূপও। মিছিল শেষে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই বিরোধীদের এমন "হুঁশিয়ারি" দিয়েছেন বিধায়ক। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরমে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। তবে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয় এই রাজ্যে। বিশেষত, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন এই ধরনের অভিযোগ আরও বেশি শোনা যাচ্ছে। 


বিতর্কিত ভিডিও...
মাসখানেক আগেকার কথা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা যেন প্রার্থী দিতে না পারে। আর দিলেও যাতে বিরোধী প্রার্থী ভোট না পান তা নিশ্চিত করতে হবে, এই বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তুমুল হইচই শুরু হয় হাওড়ায়। কারণ, ভিডিওয় দেখা যায়, যিনি বক্তব্য রাখছেন, তিনি হাওড়া সদরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। এবিপি আনন্দ সেই ভিডিওর সত্যতা আলাদা করে যাচাই করেনি। তবে ভিডিওটিতে কল্যাণকে  বলতে দেখা যায়, "২০২৩ সালের গ্রাম পঞ্চায়েতে এই এলাকায় একটাও কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিতে না পারে। যদি প্রার্থী দেয়ও, একটা ভোট যেন না পায়। আপনারা শুধু সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।" বাংলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক এখনও অব্যাহত। তারই মধ্যে আগামী পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি ও ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল হইচই শুরু হয়। যদিও এব্যাপারে বিরোধীদের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই অবশ্য় বলেছিলেন, "গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কীভাবে ভোট হয়েছিল দেখেছি, এবার যেভাবে বলছেন, তাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট হতে দেবে না, আমরা প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতিকে জানাব, নির্বাচন কমিশনে জানাব, বোঝাই যাচ্ছে কীভাবে ভোট হবে...।" তবে ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষই শুধু নন...এর আগে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সম্পাদক আব্দুল মান্নান লাভপুরের দাঁড়কার একটি সভায় পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য করার ডাক দিয়ে বিতর্কে জড়ান। ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে যা ঘটেছিল, তার বিরূপ প্রভাব ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পড়েছিল বলে মনে করেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ।


আরও পড়ুন:মিটিংয়ে ধমক, হেনস্থা, অভব্য আচরণ! ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড