কলকাতা: অরূপ বিশ্বাস, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রের পর রাজ চক্রবর্তী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক। যাদবপুরের ঘটনায় রাজের দাবি, চাইলে তৃণমূলের লোকেরাও উগ্র হতে পারে। দু'মিনিট সময় লাগে। এর আগে, যাদবপুর দখল করতে অরূপ এক মিনিটের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। মদন ৩০ সেকেন্ড চেয়েছিলেন গতকাল। ব্যারাকপুরের বিধায়ক জানালেন, তৃণমূলও চাইলে উগ্র আচরণ করতে পারে, কিন্তু দল সেটাকে সমর্থন করে না। (Raj Chakraborty on JU)
শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। আর তার পর থেকে হুঁশিয়ারির পর হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। প্রথমে এরূপ এক মিনিটে যাদবপুর দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বেরোলে দেখে নেবেন বলেছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ। মদন আবার গতকাল ৩০ সেকেন্ড চেয়েছিলেন যাদবপুরকে দেখে নিতে। রাজ জানালেন উগ্রমূর্তি ধারণ করতে দু'মিনিট সময় লাগবে দলের কর্মীদের। কিন্তু তাঁরা সংযম দেখাচ্ছেন। (Jadavpur University)
বৃহস্পতিবার যাদবপুর নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন তিনি। তিনি বলেন, "যেটা ঘটেছে যাদবপুরে, সেটা CPM-এর সময় হতো, অন্য কোনও দল করলে, আজ তারা রাজ্যে থাকতে পারত না। হয়ত খালের ভিতর থাকতে হতো। কী করতো ভাবতে পারবেন না। CPM-এর ঔদ্ধত্য, অহঙ্কারই ওদের শূন্যে নামিয়ে এনেছে। তৃণমূলের কর্মীরা চাইলেও উগ্র হতে পারে। দু'মিনিট সময় লাগে। কিন্তু জানে যে আমাদের দল সেটাকে সমর্থন করে না। আমাদের দল কখনও বলবে না যাও বিরোধীদের গিয়ে মেরে এসো। ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর এখানে যা ঘটেছিল, দোকাল জ্বালিয়ে দেওয়া, মানুষ মারা...কিন্তু ২০২১ সালের পর বলতে পারবেন না, দু'একটা ঘটনা ছাড়া, যেগুলোর নিন্দা করি আমরা, সেগুলো ছাড়া আর কোনও ঘটনা ঘটেছে।"
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে CPM নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, "কয়েক সেকেন্ড এদিক ওদিক হতে পারে। তার বাইরে রাজ চক্রবর্তী একদম সঠিক কথা বলেছেন। তৃণমূল চাইলেই উগ্র হতে পারে, চোর হতে পারে, খুনি হতে পারে, ধর্ষক হতে পারে। কিন্তু তৃণমূল যেটা পারে না, তা হল, সুস্থ ভাবে ছাত্র সংসদের ভোট করিয়ে যআদবপুর-সহ বাংলার বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ভাবে জিতে আসতে। যবে থেকে এই ঘটনা ঘটেছে, এদের একাট নেতাকেও মুখ ফস্কে বলতে শুনলেন যে. 'বাংলায় সুস্থ ছাত্র নির্বাচন করে, গণতান্ত্রিক উপায়ে, ছেলেমেয়েদের সমর্থনে জিতে ছাত্র সংসদ গ্রহণ করতে পারি আমরা'! একটা লোক ভুল করেও বলবে না। এদের নেতাদের একটাই কথা, 'আমরা কিন্তু উগ্র, আমরা কিন্তু খুনি, আমরা কিন্তু লম্পট, আমরা কিন্তু ধর্ষক'। কী সুন্দর গর্ব করে বলছেন মন্ত্রী-বিধায়করা। আমাদের কিছু বলতে হবে না। ওঁদের মুখের কথাই ওঁদের চরিত্র পরিষ্কার। বাংলার মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, আপনারা বিচার করুন। যারা প্রেস কনফারেন্স করে নিজেদের বেহায়া, উগ্র ও খুনি হওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে পারে, তাদের কতদিন বরদাস্ত করা যায়।"
এক দিন আগে এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মদন। তাঁর বক্তব্য ছিল, অরবপ এক মিনিট বলেছিলেন, তিনি ৩০ সেকেন্ড চাইবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই সংযম দেখাচ্ছেন তাঁরা। নির্দেশ দিতে হবে না, শুধু বুঝে নিতে বললেই তাঁরা দেখে নেবেন বলে জানান মদন।
সবিস্তার আসছে