কলকাতা: ভোররাতে প্রথমে গ্রেফতারি, তার পর আট ঘণ্টা পেরিয়ে জামিন মঞ্জুর। কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Koustav Bagchi) বঙ্গ রাজনীতিতে এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে। জামিনে মুক্ত হয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনি। মাথার চুল কামিয়ে জানিয়েছেন, বাংলা থেকে মমতা সরকার উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত চুল গজাতে দেবেন না। রাতের অন্ধকারে পুলিশ তুলে আনার ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানিয়েছেন। তা নিয়ে কৌস্তভ তথা কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। 


কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বঙ্গ রাজনীতিতে এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে


শনিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জামিন মঞ্জুর হয় কৌস্তভের। ছাড়া পেয়েই প্রথমে রাস্তায় বসে মাথা কামান তিনি। তার পর রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি ছুড়ে দেন। বলেন, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যতক্ষণ না উৎখাত করতে পারছি, আমার মাথার চুল আমি গজাব না। এর শেষ দেখে ছাড়ব আমি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাতের ঘুম কেড়ে নেব।" কৌস্তভ আরও বলেন, "প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি। আবার বলছি, মাতৃসম মুখ্যমন্ত্রী, পুত্রসম কৌস্তভ বাগচীকে ভয় পেয়েছেন।"


কৌস্তভের এই হুঁশিয়ারিতে প্রতিক্রিয়া চাইলে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেন তাপস। এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "হ্য়াঁ, ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছি আমরা! কী শেষ দেখে নেবে, আমরাও দেখব। অনেক দেখলাম। বামেদের সমর্থনে একটা আসনে জিতেছে। তাতে একাবের মনে হচ্ছে, কী না কী হয়ে উঠেছে! ভারত থেকে উবে গিয়েছে কংগ্রেস। আর নেই ওরা। শেষ দেখে ছাড়বেন! আমরা কি বসে থাকব?"


আরও পড়ুন: Koustav Bagchi Arrested: ‘কেউ নির্দেশ দেয়নি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবাসি’, কৌস্তভের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মামলাকারী


সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়ের পর অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জেরে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা আক্রমণের পরেই, আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভকে গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। তাতে যুক্ত করা হয় শ্লীলতাহানির ধারাও। 


প্রতিক্রিয়া চাইলে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেন তাপস


শনিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়েছিল কোর্টে। সেখানে কৌস্তভকে ১০ মাসের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তা গৃহীত হয়নি আদালতে। বরং আট ঘণ্টার মাথায় জামিন মঞ্জুর হয় কৌস্তভের। এই ঘটনা স্বভাবতই অক্সিজেন জুগিয়েছে কংগ্রেসকে। আদালতে এ নিয়ে জবাব দেবেন দেবেন বলে জানিয়েছেন কৌস্তভ খোদও। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে মামলাকারী সুমিত সিংহ জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল করেন বটে, কিন্তু কেউ অভিযোগ জানাতে প্রভাব খাটাননি তাঁর উপর। মমতাকে ভালবাসেন তিনি। তাই কৌস্তভের মন্তব্যে আহত হন। গিয়ে থানায় অভিযোগ জানান।