কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা, অশান্তি, খুনোখুনি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। সেই আবহেই সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টকে (Calcutta High Court নিশানা করেছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee)। সেই নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এবার অভিষেকের পাশে দাঁড়ালেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার (Aparupa Poddar)।


হাইকোর্টের বিচারপতিদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অভিষেক। সরাসরি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নাম উল্লেখ করেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা, অশান্তির ঘটনায় না চাইতেই বিজেপি নেতারা রক্ষাকবচ পেয়ে যাচ্ছেন, তঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং প্রশাসনকে পদক্ষেপ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন অভিষেক।


রবিবার অভিষেকের সেই মন্তব্যে সমর্থন জানালেন অপরূপা। তাঁর বক্তব্য, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন এবং আমি তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করি। কারণ উনি যে কথাগুলি বলেছেন, সেগুলো নিয়ে গভীর ভাবে ভাবা উচিত। বিজেপি হাইকোর্টকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে। এটা হওয়া উচিত নয়। এতে বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিচারব্যবস্থা থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। "


আরও পড়ুন: CV Ananda Bose: নতুন করে সংঘাতের ছায়া, এবার প্রেস সচিব শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে অব্যাহতি দিলেন রাজ্যপাল


অভিষেকের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। সংবিধান এবং আদালত অবমাননার জন্য তাঁর সাংসদপদ বাতিলের দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। সরাসরি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে সেই নিয়ে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন চিঠিতে। 


সেই নিয়ে আগেই সৌমিত্রকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। অপরূপাও এদিন একহাত নেন সৌমিত্রকে। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন সৌমিত্র। তাই এমন ভুল বকছেন। শুধু তাই নয়, বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসার অনেক চেষ্টা করেছিলেন সৌমিত্র, কিন্তু অভিষেক দরজা খোলেননি বলেও এদিন দাবি করেন অপরূপা। বিজেপি-তে গুরুত্ব পেতেই সৌমিত্র এমন করছেন বলে দাবি তাঁর।


যদিও তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা করা হলেও, সত্য বলবেন বলে আগেই জানিয়ে দেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য ছিল, "সত্য বলার জন্য আমার বিরুদ্ধে যে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু আপনি পুলিশ এবং প্রশাসনের হাত বেঁধে দিয়েছেন। কী করে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন? হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এমন রায় দিচ্ছেন যে, শুভেন্দু যদি আগামী দিনেও কোনও অপকর্ম করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, দায়ের করা যাবে না FIR. বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাই বিজেপি-র গুন্ডাবাহিনীকে প্রোটেকশন দিয়ে রেখেছেন।