কলকাতা: চিফ হুইপের পদে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় মহুয়া মৈত্র। লোকসভায় চিফ হুইপের পদ ছেড়েই এদিন এবিপি আনন্দ-কে টেলিফোনে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। 

Continues below advertisement


 


আরও পড়ুন, নতুন ভূমিকায় অভিষেক, চিফ হুইপের পদ থেকে ইস্তফা কল্যাণের !






কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় : দিদির বক্তব্য হচ্ছে, লোকসভার কোর্ডিনেশন ঠিকভাবে হচ্ছে না। সেই জন্য আমি রিজাইন করলাম। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দিনের পর দিন আসবে না। কাকুলি মাঝে মাঝে থাকবেন। সব দায়-দায়িত্ব কি আমি ঘাড়ে একা নেব ? আমার দ্বারা যখন হচ্ছে না, তখন রিজাইন করে দেওয়াটাই ভাল। দিদি বলছেন, ঝগড়া করছে, আমাকে যদি কেউ গালাগাল দেয়, সেটা আমাকে সহ্য করতে হবে ? আমি তো সহ্য করতে পারব না এসব।'


 প্রশ্ন: বিশেষ কারও দিকে কি ইঙ্গি করছেন ?


কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় : হ্যাঁ নিশ্চয়ই। মহুয়া মৈত্র তো গালাগাল দিয়েছেন। ..কী বলেনি ! দলকে জানিয়েছি। দল তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে, এখন আমাকে দোষারপ করছে। তাই আমি রিজাইন করে দিলাম। মমতাদি দল চালাক।.. আমাকে যদি বলে যে কোর্ডিনেশন করা হচ্ছে না, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নেই দীর্ঘ দিন। কাকলি ঘোষ দস্তিদার মাঝেমাঝে থাকেন, মাঝেমাঝে থাকেন না। আমাকে রাজ্যের অনেক মামলা দেখতে হয়। আমি দেখব SSC, আমি দেখব OBC, আমাকে সাড়ে ১০ টা থেকে পার্লামেন্টে থাকতে হবে, এটা তো হয় না। কেউ থাকে না হাউজে। কেউ কেউ শাড়ি পড়ে সেজেগুজে আসে। একটুখানি নরেন্দ্র মোদী মুর্দাবাদ,  নরেন্দ্র মোদী মুর্দাবাদ,  করে চলে যায়। হয়ে গেল।....তো আমি যখন পারছি না, আমাকে তখন ছেড়ে দেওয়া উচিত। আমি ছেড়ে দিয়েছি। নতুন যারা আছে, তাঁরা করবেন। দল ভাল করে চলুক। কাকুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি। আমার সিটটা যেন ব্যাক বেঞ্চে অ্যালোট করা হয়। আঙুল তো আমার দিকে। তো দিদি যখন অভিযোগ, আমার বিরুদ্ধে উঠেছে, আমি ছেড়ে দিচ্ছি। আমি তো বলেছি, দিদি যেদিন বলবেন, সেদিন আমি রাজনীতি ছেড়ে চলে যাব। চিফ হুইপের দিকে আঙুল তুলেছেন মমতা দি। তাই চিফ হুইপের পদ থেকে রিজাইন করে দিলাম। 


প্রশ্ন : ইস্তফা তো আপনি দিয়েছেন, কী কারণে ইস্তফা দিয়েছেন, সেটা এবিপি আনন্দ-কে ফোনে আপনি জানিয়েওছেন, কিন্তু এরপর আপনি কী করবেন ?


 কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় : যেটা হয়েছে, সেটা বলছি। একুটু আগে, মিনিট দশেক আগে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ফোন করেছিলেন। ফোন করে অনুরোধ করেছেন যে, তিন চার দিন আরও চিফ হুইপ হিসেবেই কাজ চালাতে।  ৭ তারিখে উনি আসবেন। আমার সঙ্গে কথা বলে, তারপরেই সব কিছু ঠিকঠাক হবে। 


প্রশ্ন : তাহলে ৩-৪ দিন আপনি কাজ চালাবেন, ৭ তারিখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন। তারপর কী ? নাকি আপনি সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করবেন, ৭ তারিখের পরে ?


কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় : সেটা দেখা যাবে। অভিষেকের সঙ্গে কথা বলি.


প্রশ্ন : একটা বিষয়, আপনি যখন কথা বলছেন, দলের প্রতি আপনার অভিমান কার্যত ধরা পড়েছে। আপনি যা অভিযোগ করেছেন, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন, দলের কাছেও জানিয়েছেন, এই গোটা অভিযোগের বিষয়টা , আপনার নেতা অভিষেকের সামনেও রাখবেন ?


কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় : হ্যাঁ কথা বললে তো অনেক কথাই হবে । দেখা যাক কী কী কথা হয়।