কলকাতা: মহার্ঘভাতা নিয়ে সরাসরি সংঘাতের পথে হাঁটছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। কর্মবিরতির ৯ মার্চ সরকারি কার্যালয় বন্ধ রাখার ডাকও দিয়েছেন তাঁরা। সেই আবহে মুখ খুললেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ তথা অভিজ্ঞ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সমহারে যেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মহার্ঘভাতা চাইছেন, তাহলে রাজ্যের বিধায়করা কেন কেন্দ্রীয় হারে ভাতা পাবেন না (DA Protests), পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ (Calcutta High Court)।
মহার্ঘভাতা নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে, তার মধ্যেই মন্তব্য কল্যাণের
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে জমি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য ছিল, "সমহারে ডিএ চাইছেন সরকারি কর্মীরা। তাহলে রাজ্যের বিধায়করা কেন্দ্রীয় হারে ভাতা পাবেন না? সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতো, হাইকোর্টের বিচারপতিরা কি সমহারে ডিএ পাবেন?"
মহার্ঘভাতা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের সংঘাত নিয়ে আদালতে মন্তব্য করলেও, এ নিয়ে রাজ্যের সরকারকে যদিও কোনও রকম শলা-পরামর্শ দিতে নারাজ কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য, "রাজ্যের এখন অনেক বড় বড় আইনজীবী রয়েছেন। জানি না কেন, তাঁদের বুদ্ধিতে এটা আসেনি।" রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সাংসদ কল্যাণ। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bandh Postpone: মমতার বার্তাতেই কাজ হল! কাল বনধ হচ্ছে না পাহাড়ে, জানিয়ে দিলেন বিনয় তামাংরা
এ দিকে, বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে বুধবার অনশন ১৩তম দিনে পড়ল। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে বুধবার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে (লাঞ্চ আওয়ারে) সমস্ত দফতরে ধিক্কার দিবস পালন করবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর পাশাপাশি, আগামী ৯ মার্চ জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর মধ্যে থাকছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
শহিদ মিনারের সামনে বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন ২৭ দিনে
অন্য দিকে, শহিদ মিনারের সামনে বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন এ দিন ২৭ দিনে পড়ল। আর এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মহার্ঘভাতা দিতে তাঁর সরকারের ১ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাংলার সরকার একমাত্র পেনশন দেয়, অন্য রাজ্য দেয় না বলেও জানান মমতা। সম্প্রতি, বাজেট অধিবেশনেও রাজ্য সরকার ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করে। কিন্তু তার পরও ক্ষোভ মেটেনি রাজ্যের সরকারি কর্মীদের।