পূর্ণেন্দু সিংহ ও অভিজিৎ চৌধুরী : উৎসবের আবহেই রাজনৈতিক আক্রমণ চলছে। ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী ইস্য়ুতে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তৃণমূল সাংসদের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
আলোর উৎসবে মাতোয়ারা রাজ্য। উৎসবের মরশুম পেরোলেই বঙ্গে ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি। ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর আগে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনীর প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। এই আবহেই দীপাবলিতেও রাজনৈতিক আক্রমণ শানাতে গিয়ে কার্যত শব্দবাজি ফাটাচ্ছেন নেতারা। শনিবারই পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর বাঁকুড়ায় বাড়ির কালীপুজোর ফাঁকে অমিত শাহকে গুন্ডা বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
অমিত শাহকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, 'মমতা দিদি তো বলছেন, আমরা SIR হতেই দেব না এখানে।' উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, উনি তো বলবেনই। সংবিধানের ঊর্ধ্বে উনি। সংবিধানের ওপরে উনি থাকেন। আমরা তো সংবিধানের আওতায় থাকি।" যার জবাবে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অমিত শাহ জীবনে কখনও পড়েনি। সংবিধানে কী আছে না আছে সেটা সম্পর্কে ওঁর জানা নেই কোনও। সংবিধানের মধ্য়ে কারা কাজ করছে সংবিধানের বাইরে কারা কাজ করছে ও কী করে জানবে ও মমতা ব্য়ানার্জি সম্পর্কে বলে গেছে যে। ওঁর ব্য়াকগ্রাউন্ড কী ? গুজরাতের গুন্ডা। এই তো ওঁর ব্য়াকগ্রাউন্ড। এই ব্য়াকগ্রাউন্ডের বাইরে তো কিছু নয়। গুন্ডাগিরি করে গুজরাতের ক্ষমতায় এসেছে। এখন ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে সব জায়গায় গুন্ডাগিরি চালাচ্ছে।"
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদকে কড়া জবাব দিয়েছে বিজেপিও। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "একজন বর্ষীয়ান সাংসদ...তিনি আইনজীবীও। আমি জানি না যে, এই ধরনের বক্তব্য যখন ওঁরা বলেন সেগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া উচিত। কারণ, এরা ডাস্টবিনের উপযুক্ত। এরা লোকসভার সাংসদ হওয়ার উপযুক্ত নন।"
কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে অসুর বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, "শ্রীরামপুরে আমরা অসুর তৈরি করব। সুকান্তর মুখটা খুব ভাল অসুরের মত মানাবে। সুকান্তকে অসুর অসুর দেখতে।" পাল্টা জবাব দিয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন," মায়ের পুজো বাঁকুড়ায় কতদিন হতে পারবে এটাই তো সবথেকে বড় কথা। বাঁকুড়া বলতে, গোটা পশ্চিমবঙ্গে কতদিন হতে পারবে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা বেশিদিন থাকলে পশ্চিমবঙ্গে আর মায়ের পুজো বেশিদিন হবে না।"
পুজোর আবহেও সংঘাতের মাত্রা চরমে। তাহলে পুজো মিটলে কী হবে!