কলকাতা : "মহাত্মা গাঁধীর মৃত্যুদিনে রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্রর ভূমিকা পালন করছেন। তৃণমূল নেতা খুনের বিষয়ে একটি কথাও নেই, লজ্জা !"  রাজ্যপালকে নিশানা করে ট্যুইট তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের (Shantanu Sen)। ট্যুইটারে তিনি আরও লেখেন, গাঁধীজির খুনিকে পুজো করে বিজেপি। ফের একটি পবিত্র স্থান ব্যবহৃত হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের জন্য। আজ ৭৪ তম প্রয়াণ দিবসে ব্যারাকপুরের গাঁধীঘাটে (Barrackpore Gandhighat) মহাত্মা গাঁধীকে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যপাল।


এবিষয়ে পাল্টা শান্তনু সেনকে একহাত নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "রাজ্যপাল গাঁধীজির হত্যাকরীকে পুজো করেন কি না উনি জানলেন কী করে আমাদের জানা নেই। তবে ওঁর সম্বন্ধে একজন বলেছিলেন, ওঁকে নাকি টাকা না দিলে প্রোমোটাররা কাজ করতে পারেন না। সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তদন্ত করা উচিত।"


আজ ব্যারাকপুরে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বলেন, "বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার হয়ে যাচ্ছে। এটা বরদাস্ত করতে পারব না। বাংলার মাটিকে রক্তরঞ্জিত হতে দেখতে পারব না। বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে। সংবিধানকে রক্ষা করা আমার কাজ। মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, সময় বের করে আমার সঙ্গে কথা বলুন। ব্যক্তিগত ইগো নিয়ে চলা ঠিক নয়।"


আর পড়ুন ; "বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার হয়ে যাচ্ছে", ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা রাজ্যপালের


পাল্টা হিসেবে জবাব দেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, "রাজ্যপাল না জানেন বাংলার ইতিহাস, না জানেন রাজনৈতিক সচেতনতার ইতিহাস। বাংলার রাজনীতির মধ্যে সহিংস প্রভাব বরাবরই ছিল। নির্বাচনে যদি কোথাও বিচ্ছিন্ন ঘটে থাকে, সেটা সার্বিক দায়। কোনও দলের দায় নয়। আমি ওঁকে এখনও বলব যে, কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র না হয়ে, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করুন, এটা চাই।"