সুজিত মণ্ডল, নদিয়া : মাঠে লাঙল চষলেন, চাষীদের বাড়িতে ঢুকে ধান ঝাড়লেন। মাথায় করে বইলেন খড়। চাষের জমিতে বসে খেলেন দুপুরের খাবার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, নদিয়ার (Nadia) বীরনগরে জনসংযোগে তৃণমূল নেতা (TMC)। পুরোটাই নাটক, শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা, পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।
‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি
ভোট বড় বালাই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, জনসংযোগ বাড়াতে, গ্রাম বাংলার মাঠে ময়দানে নেমে ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল। এবার নদিয়ার বীরনগরের, বিজেপি পরিচালিত ওয়ার্ড সংলগ্ন খিসমা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে জনসংযোগে গেলেন, তৃণমূল কাউন্সিলর। শুধু গেলেনই না, গামছা গলায় দিয়ে, কৃষকদের সঙ্গে খেতে লাঙল চষলেন। বাড়িতে ঢুকে, ধান ঝাড়াই করলেন। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সঙ্গে শস্যবিমা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী সহ বিভিন্ন সরকারি স্কিমের অর্থ পাচ্ছেন কি না জানতে চান।
জনসংযোগের ভিন্ন পন্থা
খড় ঝেড়ে মাথায় করে নিয়ে গিয়ে, তা তুলে রাখলেন গাদায় গবাদি পশুর খাওয়ার জন্য় মেশিনে ঘাস কুচোলেন। চাষিদের সঙ্গে মাঠে বসেই সারলেন দুপুরের আহার। গ্রামে গিয়ে জানতে চাইলেন, গ্রামবাসীরা সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কি না। সব ঠিকমতো হচ্ছে কিনা দেখছে। পুরোটাই নাটক, তৃণমূলের এই প্রচার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
কটাক্ষ বিজেপির
বীরনগর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজন বালা বলেছেন, '৭ তারিখ অভিষেক আসছেন। যাতে অভিষেকের কাছে পৌঁছনো যায়, প্রিয় পাত্র হওয়া যায়, তাই এটা করেছেন। যাঁকে বলে নাটকবাজি। আখেরে লাভ হবে না।' বীরনগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গোবিন্দচন্দ্র পোদ্দার বলেছেন, 'পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে এই প্রকল্প। গ্রামে তো সবাই যায়। চাষীভাইরা তো সকালে গ্রাম থেকে বেরিয়ে যায়। তাই খামারে এলাম। তাঁদের সুখ দুঃখের সঙ্গী হলাম।'
রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনস্থ বীরনগর পুরসভা ও খিসমা গ্রাম পঞ্চায়েত দুটোই তৃণমূলের। কিন্তু গত বিধানসভা ও লোকসভা দুটোতেই এখানে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে ছবিটা কী দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার।