কলকাতা: মহুয়া বিতর্কে প্রথমবার মুখ খুলল তৃণমূল (TMC)। উল্লেখ্য, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে 'ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের' অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজনীতি। পাল্টা, CBI এবং এথিক্স কমিটির তদন্তকে স্বাগত জানিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। এহেন পরিস্থিতিতে এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। মহুয়া বিতর্কে জড়াতে চায় না শাসক দল, বুঝিয়ে দিলেন কুণাল। এ বিষয়ে যা বলার মহুয়া বলবে, মন্তব্য তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের।
মহুয়া মিত্রের লড়াইয়ে তৃণমূল থাকছে কি থাকছে না ?
কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, 'কিছু জিনিস দেখা যাচ্ছে, কিছু জিনিস শোনা যাচ্ছে,কিন্তু এবিষয়ে আমি তো কোনও মন্তব্য করবই না। সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য নেই। মহুয়া মিত্রের লড়াইয়ে তৃণমূল থাকছে কি থাকছে না ? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তর এড়ালেন কুণাল। বললেন, যাকে কেন্দ্র করে বিষয়টা, আমার মনে হয়, তিনি বিষয়টা ভাল করে বলতে পারবেন।তৃণমূলের কোনও বক্তব্য এই মুহূর্তে নেই।'
এর দুটো কারণ আছে : বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন,' এর দুটো কারণ আছে। একনম্বর, মহুয়া মৈত্র যেটা করেছেন, সেটা অপরাধ।সংসদের রীতিনীতিকে ভঙ্গ করেছেন। এবং তাঁর সংসদ সদস্য পদ যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। ..এটা তৃণমূল বুঝে গেছে। এবং এই সুযোগে, তৃণমূলের মধ্যে যে দলবাজি চলছিল, মহুয়া মৈত্রকে কেন্দ্রে নদিয়া থেকে শুরু করে সেই দলবাজির আঁচ যে রাজ্য পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে, কুণাল ঘোষের বিবৃতিকে আবার স্পষ্ট করল।'
'একমাত্র খোকাবাবু ছাড়া তৃণমূল দল কারও পক্ষে দাঁড়ায় না..', প্রতিক্রিয়া অধীরের
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'তৃণমূল দলে এটাই দস্তুর , যে তৃণমূলের দলের যখন কেউ লড়াই করতে গিয়ে, বা তৃণমূল দলের কারও বিবৃতিতে বিপদ হয়, সমস্যা হয়, একমাত্র খোকাবাবু ছাড়া তৃণমূল দল কারও পক্ষে দাঁড়ায় না।'
মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে 'ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের' অভিযোগ ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে 'ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের' অভিযোগ ঘিরে এখন সরগরম জাতীয় রাজনীতি। পাল্টা, CBI এবং এথিক্স কমিটির তদন্তকে স্বাগত জানিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। হিরানন্দানি গ্রুপ দাবি করেছে, তারা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে মহুয়া মৈত্রকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই হিরানন্দানি গ্রুপের সিইও দর্শন হিরানন্দানি দাবি করেন, মহুয়া মৈত্রর ধারণা হয়েছিল, নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে গৌতম আদানি ও তাঁর গ্রুপকে আক্রমণ করা কারণ, দু-জনই একই রাজ্য গুজরাত থেকে এসেছেন। সাংসদ হিসাবে মহুয়া মৈত্রর যে ইমেল আইডি, সেটা তিনি আমাকে পাঠান, যাতে আমি তাঁকে আরও তথ্য দিতে পারি এবং তিনি সেগুলো সংসদে তুলতে পারেন। সেই প্রস্তাবে আমি রাজি হয়ে যাই।
আরও পড়ুন, শহরে নাড্ডার হোর্ডিং সরতেই TMC-র উপর চটলেন দিলীপ, বললেন..
পাল্টা বিবৃতিতে মহুয়া মৈত্র দাবি করেন, চিঠির বিষয়বস্তু অত্যন্ত হাস্যকর। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এমন কেউ এটা লিখেছেন, যিনি বিজেপির আইটি সেলের হয়েও লেখেন। এই চিঠিতে আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের সঙ্গে এমন সবাইকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যারা সবাই মোদি ও গৌতম আদানির বিরোধী। নিশ্চয়ই কেউ বলেছে, “সবার নাম ঢুকিয়ে দাও। এরকম সুযোগ আর আসবে না। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে দর্শন ও তার বাবার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মাত্র ২০ মিনিটে এই হলফনামায় সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে।