নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে আজ দিল্লিতে তৃণমূল (TMC)। আজ থেকে শুরু হয় দু'দিনের কর্মসূচি। রাজঘাটে মহাত্মা গাঁধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়ে ধর্না শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের মন্ত্রী সাংসদরা (Abhishek Banerjee)। তবে শেষপর্যন্ত তা দীর্ঘতর হয়নি, তৃণমূলের ধর্নার শেষলগ্নে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসূচির দিনেই তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এদিন তিনি শুধু ১০০ দিনের কাজের ইস্য়ুতেই নিশানা করেননি, তাঁর বক্তব্যে এসেছে বাংলায় আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গ। সারদা, নারদাও হালকা ছুঁয়ে গিয়েছেন তিনি।
গরিব মানুষের প্রাপ্য টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস : অনুরাগ
অনুরাগের কথায়, 'রাস্তা, পুকুরের নামেও বেলাগাম দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়। নদী বাঁধের জন্য কাজ দেখিয়ে বালির বস্তাও পাওয়া যায়নি।বারবার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে, কিন্তু কোনও রিপোর্ট আসেনি। যার দোতলা, তেতলা বাড়ি, সেও আবাস প্রকল্পের আওতায়। সারদা, নারদের পর ১০০দিনের কাজের টাকাও লুঠ হয়েছে বাংলায়। গরিব মানুষের প্রাপ্য টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমোর নাম নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে কেন হাত কাঁপছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? বড় প্রশ্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।'গরিবদের টাকা কার কাছে যাচ্ছিল? কাটমানি কোথায় যাচ্ছিল? উত্তরপ্রদেশের চেয়ে ৪ গুণ বেশি টাকা পেয়েছিল বাংলা', ১০টি জেলার নাম করে পাল্টা আক্রমণে অনুরাগ ঠাকুর।
আরও পড়ুন, 'ভুয়ো জব কার্ডের নামে দুর্নীতি বাংলায়..', মমতাকে নিশানা গিরিরাজের
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্নার ডাক তৃণমূলের
মূলত কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্নার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। রাজঘাটে তৃণমূলের ধর্নার শেষলগ্নে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠক শেষের আগেই দিল্লি পুলিশের হুইসল বাজতে শুরু করে। সাংবাদিক বৈঠক ভন্ডুল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আজ। জোর করে ধর্না তুলে দেওয়ার অভিযোগে অমিত শাহর পুলিশের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব। তৃণমূলের সাংসদ-মন্ত্রীদের ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ। রাজঘাট থেকে বেরিয়ে অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠকও সরিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমাধিস্থলে হট্টগোলের পাল্টা অভিযোগ দিল্লি পুলিশের। মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার সময় লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের তাড়া করে অমিত শাহর পুলিশ বলে অভিযোগ।আর ঠিক এমনই সময় জুতো হারান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু! পথ হারান মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। ফোন হারান সাংসদ শান্তনু সেন।