কলকাতা : কেটে গেছে দীর্ঘদিন। তাও বদল হয়নি সভামঞ্চের স্থলের। শহিদ স্মরণে এখনও একই স্থল বেছে নেন তৃণমূলনেত্রী। এর কারণ জানালেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। ২১-এর সভামঞ্চ থেকে তিনি জানান, "এই জায়গাটা অত্যন্ত পবিত্র। ৯৩-এর ২১ জুলাই এই কেসি দাসের সামনে পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন মুরারি চক্রবর্তী। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) অনেক বলা সত্ত্বেও তিনি সমাবেশের জায়গা সরান না। তার কারণ, এই মাটি শহিদদের রক্তে সিঞ্চিত মাটি। "


কী বললেন বর্ষীয়ান নেতা ?


তিনি বলেন, "আজ ২৯ বছর হল। ৯৩-এর সেই দিনে আমরা যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলাম, আমরাও বৃদ্ধ হচ্ছি । ৯২-এর ২৫ নভেম্বর মমতার একার ডাকে যে ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল, তাতে বামেরা বুঝে গিয়েছিল মমতা-ই তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শেষ করে, তার সংগঠনকে একেবারে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল । আমি সেদিন দেখেছি পুলিশ কীভাবে নিরস্ত্র ছেলেদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। আমি দেখেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সারা গায়ে পুলিশের লম্বা লম্বা লাঠি পড়েছে।" 


আরও পড়ুন ; ‘আগামী দিনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি, তাতেই বাকিরা এক হয়ে যাবে’, বললেন মমতা


সেই আবেগ থেকেই এবারও ২১-এর সমাবেশ উপলক্ষে ধর্মতলায় থিকথিকে ভিড়। এদিকে সভা শুরুর আগে এ দিন ধর্মতলা চত্বের মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাওয়ার দাবিতে সরব হন একদল মানুষ। তাঁদের হাতে ধরে রাখা ছিল ‘ডাক দিচ্ছে জনতা, দিল্লি যাবে মমতা’ স্লোগান। কোথাও আবার ‘উই লাভ দিদি, অলোস লাভ এবি’ পোস্টারও চোখে পড়ে। ব্যাখ্যা চাইলে শোনা যায়, মমতার প্রতি যেমন ভালবাসা রয়েছে, তেমনই স্নেহ-ভালবাসা রয়েছে অলিখিত ভাবে তৃণমূলে তাঁর উত্তরসূরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিও। সংবাদমাধ্যমে তাই নিঃসঙ্কোচে বলেত শোনা যায় ভিড়কে, ‘‘২০২৪-এ দিদিকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই আমরা।’’