প্রকাশ সিনহা, কলকাতা:  হাঁটাচলায় সমস্যা। তাতে একুশে জুলাইয়ের (21 July) আবেগে ভাটা পড়েনি নাজির আলম। উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুর থেকে একাই বাসেই চড়ে চলে এসেছেন শিয়ালদায় (Sealdah)। সেখান থেকে বাইকে লিফট চেয়ে পৌঁছেছেন ডোরিনা ক্রসিংয়ে।


একুশে জুলাইয়ের আবেগে ভাটা পড়েনি: সকাল থেকেই শুরু একুশের মিছিল। পায়ে পায়ে ধর্মতলায় ভিড় জমাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। কাঁধে ঘাসফুল আঁকা পতাকা। সঙ্গে দলের প্রতি আবেগ। যেখানে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বিশেষভাবে সক্ষম নাজির আলম এদিন মিছিলেও অংশ নেন। ডোরিনা ক্রসিং থেকে ধর্মতলায় সভা স্থলের দিকে যান তিনি। এদিন তিনি বলেন, "বাসে একা কলকাতা এসেছি। এর আগে একবার এসেছি।''  


 


 





একুশের সমাবেশে যাওয়ার আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবার সামনে থেকে দেখতে চান জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। কালীঘাটে লম্বা লাইন। ভিড় সামলাতে তাঁদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। ঢোল করতাল বাজিয়ে সাইকেল চালিয়ে ধর্মতলার সমাবেশে যাচ্ছেন শ্রীলাল সাহানি। শান্তিনিকেতন থেকে একাই এসেছেন দলের সমাবেশে যোগ দিতে। সকালে ময়দানে ধরা পড়ল এই ছবি। অন্যদিকে, ইংরেজিতে লেখা, আমরা দিদি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসি। থার্মোকলের কাটআউট নিয়ে ধর্মতলায় হাজির তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। ২০২৪-এ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে। সেই ইচ্ছা নিয়েই মুখে খেলা হবে এঁকে একুশের সমাবেশে হাজির হয়েছেন বনগাঁর বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী।


আরও পড়ুন: TMC 21st July: তৈরি VVIP গেট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট দিয়ে ধর্মতলায় ঢুকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়