কলকাতা: বাংলায় এসে অফুরন্ত ভালবাসা পেয়েছেন। তৃণমূলের শহিদ স্মরণ সমাবেশে (TMC Shahid Diwas 2022) তাই আবেগে ভাসলে ‘বিহারিবাবু’ শত্রুঘ্ন সিন্‌হা (Shatrughan Sinha)। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) সরকারকে। দেশে এখন স্বৈরাচার চলছে বলে দাবি করলেন তিনি। বিজেপি ছাড়তে কেন বাধ্য হন, তা-ও বিশদে ব্যাখ্যা দেন শত্রুঘ্ন।


কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শত্রুঘ্নের


মাঝে দু’বছরের বিরতি নিয়ে বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই কলকাতায় ফের তৃণমূলের শহিদ স্মরণ সমাবেশ বসেছে। তাতে এ দিন বক্তৃতা করতে ওঠেন শত্রুঘ্ন। আর সেখানেই কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে  নিশানা করেন তিনি। বলেন, ‘‘নোটবন্দির চেয়ে বড় দুর্নীতি এ যাবৎ হয়নি দেশে। জিএসটি দুর্নীতি, অগ্নিবীর নিয়েও দুর্নীতি হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। বেকার যুবকদের ধরে ধরে নিজেদের স্বার্থে চার বছরের জন্য ব্যবহার করছে। চার বছর পর নাকি ৭৫ শতাংশকে ছেঁটে ২৫ শতাংশকে রেখে দেওয়া হবে!নিজেদের লোক, দলের লোক নয় তো এই ২৫ শতাংশ!’’


গোড়া থেকেই নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সঙ্গে শত্রুঘ্নর দূরত্ব ছিল বলে শোনা যায়। তাই তাঁদের আমলে শত্রুঘ্নর বিজেপি ছাড়া নিয়ে কম কথা হয়নি। এ দিন নিজেই তার কারণ ব্যাখ্যা করেন শত্রুঘ্ন। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন বিজেপি-তে ছিলাম। দেখেছিলাম, অটলবিহারি বাজপেয়ীজির মতো অসামান্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ছিল। কিন্তু আজকের নেতা, প্রধানমন্ত্রীর আমলে দেশে তানাশাহি চলছে। ৫০ বছরে সর্বোচ্চ বেকারত্ত দেশে। দেশের যুবসমাজকে বেকারত্বের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। নোটবন্দি নামে বাড়ির মহিলাদের তিল তিল করে জমানো টাকা নিমেষে হাওয়া হয়ে গিয়েছে। এত জটিল জিএসটি, যে রোজ সংশোধন করতে হচ্ছে। এ সব দেখেই থাকতে পারিনি।’’


আরও পড়ুন: TMC Shahid Diwas 2022: হুইল চেয়ারে বসে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি-কে, ২০২৪-এর ‘গেম চেঞ্জার’ মমতাই, বললেন শত্রুঘ্ন


২০১৪ সালে বিশ্বগুরু হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে বিজেপি সরকারে এলেও, গত আট বছরে ভারতের ক্ষতি বই লাভ হয়নি হলেও মন্তব্য করেন শত্রুঘ্ন। তাঁর দাবি, আট বছর আগে ক্ষমতায় এসে সরকারের ঘাড়ে দেনার বোঝার পরিমাণ ১২৪ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে গিয়েছে মোদি সরকার। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি,  টাকার দামে পতন নিয়ে সরকারের জবাবদিহির দায় রয়েছে বলে মত তাঁর।


মমতায় আস্থা শত্রুঘ্নর


তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আস্থা রয়েছে বলে জানান শত্রুঘ্ন। আসানসোল থেকে বিরাট ব্যবধানে তাঁর জয়ী হওয়ার পিছনে মমতার নেতৃত্ব, তৃণমূল কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আসানসোলের মানুষের ভালবাসা, সম্মান জড়িয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।