কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : আই প্যাকের পক্ষে মুখ খুলে বিপাকে সৌগত রায় ? সতর্ক করল দল। তৃণমূল সূত্রে খবর, এ বিষয়ে দলের বর্ষীয়ান সাংসদকে মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।


তৃণমূলের জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান আই প্যাকের, দলে এক ব্যক্তি এক পদ-নীতিকে সমর্থন জানিয়ে এবিপি আনন্দে মুখ খুলে কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ব্যাটিং করেন সৌগত রায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, এরপরই দমদমের তৃণমূল সাংসদকে লাগাম টানতে উদ্যোগী দল। দলের সতর্কবার্তার পর এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না বলে প্রতিক্রিয়া সৌগত রায়ের।


আরও পড়ুন ; আইপ্যাকের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে গেছে, অসুবিধা হবে, বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে দাবি সৌগত রায়ের


পুরভোটের (Municipal Election) জেলাভিত্তিক নজরদারি কমিটির মাথায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) না রাখা, তৃণমূলের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সংস্থার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার জল্পনা, এসব ঘিরে তৃণমূলের (TMC) অন্দরের রাজনীতিতে এখন জোর শোরগোল। আর এই আবহেই এবিপি আনন্দে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)।


তাঁর মন্তব্য, ‘আইপ্যাকের (I-PAC) সঙ্গে কী চুক্তি ছিল, সে আমি জানি না। সেই চুক্তি ভেঙে গেছে। ক্ষতি না হলেও অসুবিধা তো হবেই। পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) এবার তৃণমূলের জয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান আইপ্যাকের।’


পুরভোটে দলের প্রার্থীতালিকা নিয়ে চাপানউচোরের মধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার হয়ে ব্যাট ধরেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর বক্তব্য, ‘আইপ্যাকের কাজ দেখেছি। অসাধারণ। আমি ভারতের রাজনীতি ৬০ বছর ধরে লক্ষ্য করছি, এত অর্গানাইজড সেট আপ আগে দেখিনি। যারা আইপ্যাকের হয়ে কাজ করে, সবাই উচ্চযোগ্যতা সম্পন্ন। আইআইটি, আইআইএম, ন্যাশনাল ল স্কুলের গ্র্যাজুয়েট, দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিকসের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, এরা সব এসেছে রাজনীতিতে। পয়সা কামানোর জন্য নয়, এরা এমনিই ৫ লক্ষ টাকা মাইনে পাবে। পাবলিক স্পেসে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে এসেছে। এরা খুব ভাল কাজ করেছে। এদের সার্ভে সিস্টেম, বিধানসভার প্রার্থীদের ব্যাপারে যা রিপোর্ট দিয়েছিল, সেই সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে ভাল ক্যান্ডিডেট হয়েছে। বিধানসভায় লিস্ট নিয়ে তো কোনও প্রবলেম হয়নি।’