সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: দিন পনেরো সময়। এর মধ্যে আবাস যোজনার দুর্নীতি-সহ (corruption) একাধিক বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের শুধরে যেতে হুঁশিয়ারি দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর (west midnapore) জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের (tmc) চেয়ারম্যান অজিত মাইতি। শুক্রবার গড়বেতা ১, ২ এবং ৩ নম্বর ব্লকের রিভিউ মিটিংয়ে এসেছিলেন অজিত। সেখানেই দুর্নীতি প্রসঙ্গে কড়া হুঁশিয়ারি তাঁর।
কী বললেন জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান?
পর্যালোচনা বৈঠকে কথা শুরুর মিনিটখানেকের মাথায় সতর্কবার্তা শোনা যায় জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের মুখে। বলেন, 'বিডিও সাহেব এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা আবাস যোজনা সংক্রান্ত দুর্নীতিগুলো দেখে নিন। এটা নিয়ে আমরা একটা বিশেষ তদন্ত করাব। গড়বেতা ১-এ জমি এবং বালি নিয়ে ও মোরাম নিয়ে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ আসছে। অনেকে যুক্ত রয়েছেন।...অবিলম্বে এগুলো বন্ধ করুন। না হলে মহকুমাশাসক তাঁদের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার, নেবেন।' বিষয়টি নিয়ে পরে ফোনে প্রশ্ন করা হলে অজিতের বক্তব্য, 'শুধু আবাস নয়, আবাসন নিয়ে যদি কোনও দুর্নীতি থাকে, একটা বিশেষ তদন্ত হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জানাচ্ছি, কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।'
দুর্নীতির বিরুদ্ধে বার্তা
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ থেকে একের পর এক ইস্যুতে তৃণমূল প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের কথা শুনে এদিনও কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি শঙ্কর গুছাইতের কথায়, 'অজিতবাবুকে বলতে চাই, যাঁরা দুর্নীতির সাথে যুক্ত তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই এটা করছেন। দুর্নীতি করে যাঁরা আপনার কালিঘাটে পয়সা পাঠিয়েছে, তাঁদের এখন বলে কিছু লাভ নেই। পঞ্চায়েত ভোট খুব তাড়াতাড়ি আসছে। এই দুর্নীতি, কাঠমানি এখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সেই অভ্যাস এখন আর পরিবর্তন হবে না।' গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতার যুক্তি, 'বিজেপি যে কথা বলে, তার উল্টোটা ধরে নিতে হবে। কারণ বিজেপি হচ্ছে দুর্নীতির আস্তাকুঁড়। ওরা জানেই না, কেন ১০ বছর আগে থেকে তৃণমূল অনেক প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।'
বিরোধী শিবিরের অবশ্য বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই দুর্নীতিবিরোধী বার্তা দিচ্ছে জোড়াফুল শিবির। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কতটা হবে? উত্তর নেই। তরজা বাড়ছে।