কলকাতা: সিগনালিংয়ে সমস্যা, প্রায় ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকল শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল। বালিগঞ্জ স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটি সন্ধে ৭টা নাগাদ সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ। চরম ভোগান্তি অফিস ফেরত যাত্রীদের। শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, প্রায় ২ ঘণ্টা পরে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

  


 সম্প্রতি গড়িয়ায় (Garia) ওভারহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তির ঘটনা ঘটেছিল। শিয়ালদা (Sealdah) দক্ষিণ শাখায় (South Section) বিঘ্নিত হয়েছিল ট্রেন চলাচল। ওইদিনও ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছিল অফিস যাত্রীদের। বজবজ ছাড়া শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছিল।  ওই সন্ধেয় সাড়ে ৭টা নাগাদ গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আপ লাইনে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল।  আপ লাইনে পুরোপুরি ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেদিন। ডাউন লাইনে দু-একটি ট্রেন চলছিল। শিয়ালদা তো বটেই দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে অপেক্ষারত ছিলেন যাত্রীরা। কেউ কেউ অপেক্ষা করছিলেন ট্রেনের মধ্যেই। সব মিলিয়েই ভয়াবহ ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন তাঁরা। দক্ষিণ শাখায় ডায়মন্ডহারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, ক্যানিংয়ের মতো একাধিক ট্রেনের রুট রয়েছে। সমস্ত শাখাতেই ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল ওই দিন। সেদিন একমাত্র দক্ষিণ শাখার শিয়ালদা- বজবজ রুটে স্বাভাবিক ছিল পরিষেবা।  


অপরদিকে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর অফিস টাইমে দমদমে (Dumdum) আচমকাই লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল একটি লোকাল ট্রেন (Local Train)। লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল ডাউন-কল্যাণী মাঝেরহাট লোকাল। দমদম স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ডাউন-কল্যাণী মাঝেরহাট লোকালের একটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। প্রায় দিনভর দমদম-মাঝেরহাট (ভায়া কলকাতা স্টেশন) রুটে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। বেশ কয়েকঘণ্টা পর ট্রেন চললেও, বেশিরভাগ ট্রেনই ছিল সময়ের থেকে দেরিতে।  এই ঘটনার ফলে যাত্রীরা ভোগান্তির মুখে পড়েছিলেন।   


আরও পড়ুন, 'বাংলায় বেকারত্ব কমেছে', আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ?


  গত ২৫ অগাস্ট রেললাইনে (Train Line) ধসের জেরে ব্যাহত হয়েছিল রেল চলাচল। শিয়ালদা (Sealdah)- বনগাঁ (Bongaon) শাখায় আপ লাইনে বন্ধ ছিল ট্রেন (Rail) পরিষেবা। ঘটনার দিন সকাল ৮ টা নাগাদ মসলন্দপুর ও হাবড়া স্টেশনের (Habra Station) মাঝে রেল লাইনে (Rail Line) ধস নেমেছিল। এর জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আপ লাইনের ট্রেন চলাচল। আপ লাইনে ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে ডাউন লাইনেও ব্যাহত রেল পরিষেবা। কাজের দিনে চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা।