কলকাতা: বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ দেওয়ার আগে বিজেপির বিক্ষোভ। পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে জানিয়েছিলেন এই বিক্ষোভের কারণ সম্পর্কে। রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বেনজির নাটক। এই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি জানান, ''কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে যে কে কাকে চিঠি দেবে, কে কার সঙ্গে কথা বলবেন, তা নিয়ে একরকম হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ফাজলামি হচ্ছে। সংসদীয় গণতন্ত্র নেই। একরকম মক ফাইট হচ্ছে প্রায়। অধিবেশনে রাজ্যপাল যে ভাষণ দেবে, তা নিয়ে এত আলোচনা কেন। ভোটে এত সন্ত্রাস হল, তা নিয়ে কোনও বিবৃতি নেই? রাজ্যপাল, অধ্যক্ষ, বিরোধী দলনেতা কে কাকে কী বলবেন, তা আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। বাজেটটা সম্পর্কে মানুষ জানতে চাইছে. কিন্তু তার কোনও হদিশ নেই। এ বলছে তৃণমূল করছি, ও বলছে বিজেপি করছি। সেটাই মূল বিষয় হয়ে উঠেছে। অদ্ভূত খেলা চলছে। এতে মানুষের তো কোনও লাভ হচ্ছে না।''


রাজ্যপালের ভাষণ ঘিরে এক ঘণ্টা ধরে বিধানসভায় নাটকীয় পরিস্থিতি। আলাদা করে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। এদিন বিধানসভার ওয়েলে নেমে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়। পুরভোটে সন্ত্রাস নিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে ভাষণ শুরু করতে পারেননি রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতজোড় করে রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন রাজ্যপাল। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ থামাতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।


''৫ বার বেরিয়ে যেতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। ধাক্কা মারা হয়েছে রাজ্যপালকে। মুখ্যমন্ত্রীর চোখের ইশারায় রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছে মহিলা তৃণমূল বিধায়করা। চন্দ্রিমা, শশী-সহ মহিলা তৃণমূল বিধায়করা হেনস্থা করেছে রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল মানবেন কিনা জানি না, কিন্তু শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। যারা বাইরে ভোট লুঠ করেছে, সেই গুন্ডা বিধায়করা হেনস্থা করেছে'', বিধানসভায় রাজ্যপালের বাধা নিয়ে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।