কলকাতা: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্নার ডাক দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ করেও পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত বাংলার শ্রমিকরাও। কাল বিশেষ ট্রেনে দিল্লি যাবেন তাঁরা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জমায়েত হতে শুরু করেছেন একশো দিনের কাজের টাকা না পাওয়া জবকার্ড হোল্ডাররা। সেখানেই তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্য়বস্থা করা হয়েছে।

  


দিল্লিতে ধর্নার ডাক: একদিকে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির তলব। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে ধর্না।এই দুয়ের মধ্যে দলীয় কর্মসূচিকেই বেছে নিয়ে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার থেকে দফায় দফায় নেতাজি ইন্ডোরে জমায়েত হতে শুরু করেছেন ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া জবকার্ড হোল্ডার, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়া প্রান্তিক মানুষরা।


তৃণমূলের টার্গেট, দিল্লিতে অন্তত ৩-৪ হাজার মানুষের জমায়েত করা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর  দিল্লিতে ধর্নায় বসবে তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজ করেও পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত বাংলার শ্রমিকরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। শনিবার বিশেষ ট্রেনে দিল্লি রওনা হওয়ার আগে, শুক্রবার সকাল থেকে বেলা যত গড়িয়েছে ততই ভিড় বেড়েছে নেতাজি ইন্ডোরে। এদিন নেতাজি ইন্ডোরেই করা হয়েছিল কর্মীদের খাওয়া ও থাকার এলাহি আয়োজন। মেনুতে ছিল, ভাত-ডাল-আলু পটলের তরকারি-ডিমের ঝোল।


এবিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দিল্লির লোকেদের বলব সাবধানে থাকতে। বাংলার চোর নম্বর ওয়ান দিল্লিতে থাকবে। ২ হাজার কোটি টাকা বাংলার মানুষের জানার জন্য বলছি, পড়ে আছে। রাজ্য সরকার ব্যবহার করতে পারছে না। কারণ ওখান থেকে টাকা খরচ করতে গেলে ৬ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেবে, আর চার টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে। রাজ্যের ভাণ্ডার শূন্য। তাই দিল্লিতে দৌড়দৌড়ি হচ্ছে, চুরি করার টাকাটা যেন যায়। চুরি বন্ধ করুন।’’ পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এতে প্রমাণ হয় যে ওরাই টাকা আটকে রেখেছে। সাধারণ মানুষ বুঝুন কারা মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। সবাই জব কার্ড দেখান। আপনি বাংলার মানুষকে অপমান করছেন।’’


আরও পড়ুন: Bankura News: বাঁকুড়ায় হাতির তাণ্ডব, আহত দুই পুলিশকর্মী