কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নতুন মোড়, সংসদে প্রস্তাব আনছে তৃণমূল (TMC)। রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) অপসারণ চেয়ে সংসদে প্রস্তাব আনতে পারে শাসক দল। বিধানসভায় রাজ্যপালের আক্রমণের পরে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল (TMC)। ‘সাংবিধানিক পদে থেকেও কর্তব্যে গাফিলতি’, অপসারণের প্রস্তাব। সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে পারেন সুখেন্দু।


গতকাল রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবস পালনেও রাজনীতির তরজা চলছিলই। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধানসভার অধ্য়ক্ষও। এরপর বিধানসভায়  (Assembly) বেনজির সংঘাত বাধে। কড়া অবস্থান নেন অধ্যক্ষ (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banejee)। এ দিন তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে রাজ্যপাল (Governor) স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিধানসভায় আসতে চাইলে আগে কারণ জানতে চাইব। সেখানে ওনার কী ভূমিকা হবে। 


আরও পড়ুন: North 24 Parganas: ফের ড্রপ বক্স বসিয়ে পুরভোটে প্রার্থী খোঁজার সিদ্ধান্ত বিজেপি-র, কটাক্ষ তৃণমূলের


মঙ্গলবার বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, কড়া বার্তা এল বিধানসভার অধ্যক্ষের তরফে। তিনি বলেছেন,  ‘এবার রাজ্যপাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিধানসভায় আসতে চাইলে কারণ জানতে চাওয়া হবে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে মঙ্গলবার অম্বেডকরের মূর্তিতে মাল্যদান করতে বিধানসভায় এসেছিলেন জগদীপ ধনকড়। এরপর বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়েই, অধ্যক্ষকে বেনজির আক্রমণ করেন তিনি। বলেছিলেন, অধ্যক্ষ মনে করেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা খুশি বলার অধিকার তাঁর আছে। তিনি কি নিজেকেই আইন ভাবছেন? আমি এসব অনাচার বরদাস্ত করব না। অধ্যক্ষ যেন এরপর গর্ভনরের ভাষণ ব্ল্যাক আউট না করেন। তাহলে আইনের মোকাবিলা করতে হবে তাঁকে। 


রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকেও জোরাল ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। এর পাল্টা রাজ্যপালের সমালোচনা করেছিলেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যপাল এখানে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি যে এই মঞ্চকে সাংবাদিক বৈঠকের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করবেন, তা জানা ছিল না। তাঁর এই আচরণ অবাঞ্ছিত ও অসৌজন্যতামূলক। যে কোনও প্রোটোকল ও রীতিনীতির বাইরে। 


এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যপালের কিছু সাংবিধানিক বাধ্যবাকতা রয়েছে। তাঁকে বিধানসভায় আসতেই হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে রাজ্যপাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিধানসভায় আসতে চাইলে আগে কারণ জানতে চাইব।