বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! অভিযুক্ত, কোলাঘাটের এক তৃণমূল নেতার হয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল উপপ্রধান। যদিও ফেরত দেওয়া চেকও বাউন্স করে বলে অভিযোগ। ‘ডাবল প্রতারণা’, কটাক্ষ বিজেপির। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।



চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিলেন একজন আর সেই প্রতারণার টাকা ফেরত দিতে গিয়ে ফেসাদে পড়লেন আরেকজন। অভিযোগ, বাউন্স হয়েছে তাঁর দেওয়া চেক। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়। দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়


জেলায় জেলায় একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে উঠেছে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ। কেউ আবার টাকা নিয়েও চাকরি দেননি বলে দাবি। এমনই প্রতারণার অভিযোগ ওঠে, পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের তৃণমূল নেতা অতনু গুছাইত ও তাঁর ভাই শান্তনুর বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যাযের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। 


অভিযোগ, SSC-তে শিক্ষক, গ্রুপ C ও D কর্মী এবং প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৃণমূল নেতা অতনু ও তাঁর ভাই।


ঘাটালের দাসপুরের অভিযোগকারী প্রসেনজিত্‍ কুইল্যা বলেন, "গাদিয়াড়াতে আমার একটি হোটেল রয়েছে সেখান থেকেই অতনু বাবুর সাথে আমার পরিচয়। প্রাইমারিতে চাকরির জন্য আমার পরিবারের পাঁচ জনের জন্য ৬৫ লক্ষ টাকা অতনুকে দিয়েছিলাম।" তৃণমূল নেতা অতনু গুছাইত ২০০৩ সালে কোলা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য হন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর, সম্প্রতি অভিযোগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মুজিবর তরফদার।  


কিন্তু অভিযোগকারীদের দাবি, তাঁর দেওয়া চেক বাউন্স হয়ে গেছে। তমলুকের এসডিপিওর কাছে জানানো হয়েছে লিখিত অভিযোগ। প্রসেনজিত্‍ কুইল্যা বলেন, "কোলা ১ পঞ্চায়েত সমিতির উপপ্রধান মুজিবর তরফদার অতনু গুছাইতে হয়ে আমাকে ডেকে পাঠায় এবং আমাকে বলে তোমাকে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে তুমি কেসটা তুলে নাও।এরপর ২২ আগষ্ট উনি ৮ লক্ষ‍্য টাকার একটি চেক দেয়।চেকটি জমা করে দেখি চেকটি বাউন্স হয়ে গেছে। এরপর উনি আমাকে ধমকানি দেয় ও পার্টির চ‍্যানেলের ভয় দেখায়। এরপর আমি এসডিপিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এই মুহূর্তে অতনু গুছাইত কোথায় আছে তা উনি জানেন।" 


কোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান মুজিবর তরফদার বলেন, "আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবেই সুষ্ঠুভাবে মীমাংসার চেষ্টা করতেই ওখানে গিয়েছিলাম।এরপর অতনু কোলাঘাট থেকে চলে গেলে আমি ওর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তারা আমাকে খামে করে কয়েকটি চেক পাঠায় সেই তিনটি চেক আমি ওইসব ব‍্যক্তিদের দিয়েছিলাম সেগুলি বাউন্স কিনা তা আমি জানতাম না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এই মুহূর্তে অতনু কোথায় আছে তা আমি জানিনা।"