কলকাতা: জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত ২ জনের ১১ দিনের পুলিশ হেফাজত। সিপিএম নেতা (CPM Leader) আনিসুর লস্কর-সহ ২ জনের পুলিশ হেফাজত। শাসক নেতা খুনে ৩ জন গ্রেফতার হলেও পিটিয়ে খুন ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার শূন্য।
ধৃতদের পুলিশ হেফাজত: প্রথমে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন। তার বদলা নিতে, অভিযুক্ত সন্দেহে, একজনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্য়াএবং তারপর ৫ কিলোমিটার দূরে গ্রামে পরপর বাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর। একের পর এক ঘটনা ঘিরে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। এর মধ্য়ে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায়, তিনদিন পর, গতকাল সিপিএম নেতা আনিসুর লস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন তাদের আদালতে পেশ করা হয়। ) তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত ২ জনের ১১ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কী জানিয়েছে পুলিশ?
গতকাল পুলিশ সূত্রে দাবি, তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে মূল অভিযুক্ত সিপিএম নেতা আনিসুর। খুনের তদন্তেই তাঁর নাম উঠে আসে। গ্রামে ভাঙচুরের পর, দলুয়াখাকি ছেড়ে পালান সিপিএম নেতা আনিসুর লস্কর। এরপরই তাঁর মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্য়াক করা শুরু হয়। তাতেই দেখা যায়, সিপিএম নেতা আনিসুর লস্কর প্রথমে বাসন্তী এবং তারপর সন্দেশখালিতে গেছিলেন। বৃহস্পতিবার একটি গাড়ি ভাড়া করে তিনি মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন। টাওয়ার লোকেশন দেখে পুলিশও সেই দিকে এগোতে শুরু করে। বড় জাগুলির কাছে আনিসুরের গাড়ি আটকায় তারা। সেখান থেকেই সিপিএম নেতা আনিসুর লস্করকে গ্রেফতার করা হয়।ও কামালউদ্দিন ঢালিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। গাড়ির চালক ও খালাসিকেও আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের বিরুদ্ধে তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য়প্রমাণ আছে। তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা জানতে জেরা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
এদিকে জয়নগরের পর আমডাঙায় খুনের ঘটনা। গতকাল ভরসন্ধেয় হাটের মধ্যে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে বোমা মেরে খুন করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় ৪-৫টি তাজা বোমা। গতকাল সন্ধেয় একাই গাড়ি চালিয়ে কামদেবপুর হাটে যান আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল। ফেরার সময়, গাড়ির সামনেই প্রধানকে লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। লুটিয়ে পড়েন রূপচাঁদ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় চারজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। FIR-এ নাম থাকা আমডাঙার খুড়িগাছির বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তকে রাতেই গ্রেফতার করে আমডাঙা থানার পুলিশ।