ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: তেহট্টর (Tehatta) তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার পর এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়কের নাম। অভিযোগ, তৃণমূল (TMC) কর্মীদেরই একাংশের। এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

প্রবীর কয়ালের পর এবার সৌম্যজিৎ সেন! নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল আরও এক তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়কের। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ক সৌম্যজিৎ সেন। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার পাশাপাশি, দলীয় কমিটিতে জায়গা করে দেওয়া, পঞ্চায়েতের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন সৌম্যজিৎ। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে সোহমের আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। 

এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে সোহমের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সজল মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। এবার অভিযুক্ত বর্তমান। চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়কের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 

ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি: অস্বস্তি ঢাকতে অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ৩ তৃণমূল বিধায়ক জেলবন্দি! হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তের আওতায় এসেছেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। গত বছরের এপ্রিল মাসে তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। 

রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল জেরায় দাবি করেছেন, চাকরি দেওয়ার নামে ৩০ থেকে ৩৬ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা তাঁর মাধ্যমে তৃণমূল বিধায়কের কাছে গেছে। ২০১৬ থেকে বেতন হিসাবে বিধায়ক তাঁকে ১২ হাজার টাকা দিতেন। এছাড়াও, চাকরি-বিক্রির কমিশন হিসাবে আরও ৩০-৪০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাপস সাহা। এবার চাকরির নামে টাকা তোলার অভিযোগ, আর এক শাসক-বিধায়কের আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে। 

তরুণজ্যোতি কটাক্ষ: শুভেন্দু অধিকারীর পরে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সোশাল মিডিয়ায় তিনি অভিযোগ করে লিখেছেন, সাংসদের প্যাড ব্যবহার করে চাকরির জন্য তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নাম সুপারিশ করেছিলেন। ট্যুইটারে এর সঙ্গে কয়েকটি নথি পোস্ট করে, বিজেপি নেতার দাবি, এসএসসি, গ্রুপ সি-র অযোগ্যদের তালিকাতেও নাম আছে সুপারিশ করা চাকরিপ্রার্থীদের। এই অভিযোগ তুলে আরামবাগের সাংসদকে গ্রেফতারির দাবিও তুলেছেন তরুণজ্যোতি। বিজেপি নেতাকে চ্যালেঞ্জ করে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ পাল্টা ট্যুইটে লিখেছেন, আপনার মহান নেতা বাংলা গদ্দারকে ৭ দিন সময় দিয়েছি। আর তোকে ৫ দিন! এরমধ্যে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ না করতে পারলে, আইনি ব্যবস্থা নেব।