সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: করণদীঘি ব্লকের আলতাপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর দিনাজরপুর জেলার ঘটনা। মঙ্গলবার প্রধানের নির্বাচন হয়। ভোটের ফলপ্রকাশে দেখা যায় সেখানে ১০ - ৬ ব্যবধানে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহঃ নুহু। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলতাপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত যায় বিজেপির দখলে। মোট ১৭ আসন বিশিষ্ট আলতাপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টি আসন পায় বিজেপি, ৪টি আসন পায় তৃণমূল ও ৩টি আসন যায় নির্দলের দখলে। ফলে পুনরায় পঞ্চায়েত দখলের পর আনন্দে মেতে ওঠেন ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা। সবুজ আবির মেখে তাঁরা উৎসবে মাতেন।


১৭ আসন বিশিষ্ট আলতাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে। এরপরই বিরোধী দলের সদস্যদের শাসক দলে আসার হিড়িক পড়ে যায়। এঁদের মধ্যে তিন জন বিজেপি সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। 


অনাস্থা পাশ হওয়ার পর গত মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন ছিল। ১৭ জন সদস্যের মধ্যে নির্বাচনে ১৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এই ১৬ জনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মহঃ নুহু ১০টি ভোট পান। বিজেপি প্রার্থী পান ৬টি ভোট। ফল ঘোষণার পরই উল্লাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। 


আলতাপুর এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন করবেন বলে জানিয়েছেন করণদীঘির বিধায়ক গৌতম পাল। যদিও অন্যদিকে বিজেপির দাবি, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে জয়ী সদস্যদের নিজেদের দলে টানছে তৃণমূল।


সম্প্রতি মালদার বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতিরও দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই এলাকায় আগে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতি ছিল। এর জন্য তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, ভয় দেখিয়ে দলবদল করানো হয়েছে। তবে পালটা নিজেদের বক্তব্য রেখেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে বাংলার উন্নয়নে শামিল হতেই বিজেপি সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন।