মুকুল রায়ের দলীয় অবস্থান নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের পদ খারিজ নিয়ে বিজেপির দাবির শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে বিধানসভায় গরহাজির ছিলেন মুকুল রায়।
যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে পদ্ম শিবির।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ' মুকুল রায় বিধানসভা এড়িয়ে যাচ্ছেন, যাওয়ার মুখ নেই বলেই এড়িয়ে যাচ্ছেন। মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উনি। আমরা আইনি পথে যাব। ' এছাড়াও ফের একবার দিলীপের দাবি, মুকুল কারও চাপে পড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন !
বিজেপি দাবি তুলেছে, তৃণমূলের সমর্থনে যে মুকুল রায় বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক। এই দাবির প্রেক্ষিতেই শুনানি চলছে বিধানসভায়।এর আগে শুনানিতে হাজিরা দেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার ডাকা হয়েছিল মুকুল রায়কে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির হননি তিনি। তাই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। পাল্টা খোঁচা দিতে শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে আনে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের আক্রমণে চুপ করে থাকেনি বিরোধী শিবির । তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ' দিলীপবাবুর উচিত শুভেন্দুকে জিজ্ঞেস করা, শিশির অধিকারী এখন কোথায়' । তিনি আরও প্রশ্ন ছুড়ে দেন, মুকুলকে কি বহিষ্কার বা সাসপেন্ড করেছে বিজেপি ?
এছাড়াও বাংলায় ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষরা। বুধবার তিনি বলেন, মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে, কারোর কোনও ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই বাংলায় ! উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, ' দিলীপবাবুরা বাংলায় ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছেন কিন্তু ত্রিপুরার দিকে তাকাক বিজেপি। সেখানে কী হচ্ছে। '
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ' এখানে প্রতিবাদ করা যায়, সমালোচনা করা যায়, ত্রিপুরায় প্রতিবাদ তো দূর হোটেলে ওঠা যায় না, বাবুল বিজেপিতে থেকে চোখের জলে, সৌমিত্রও বিদ্রোহ করেন, কোথায় গণতন্ত্র-ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই বিজেপি ভাবুক' সব মিলিয়ে যুযুধান দুই দলের তরজায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।