প্রসেনজিৎ সাহা, ত্রিপুরা : আবারও বিএসএফের গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশি পাচারকারী। সিপাহীজলা জেলার কলমচৌড়া থানাধীন পুটিয়া সীমান্তের ৬ নং গেট এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে।

বিএসএফ জানিয়েছে, পাচারকারীরা পুটিয়া সীমান্তে পাচার করার সময় বাধা দিলে পাচারকারীরা জোয়ানদের দিকে পাথর ছুড়তে থাকে।  বিএসএফ বাধ্য হয়ে গুলি করে ঘটনাস্থলেই পাচারকারী রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। বিএসএফ পাচারকারীকে  উদ্ধার করে বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে যায়।  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। নিহত পাচারকারীর নাম মোহাম্মদ আলামিন। তার বাড়ি বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলার সালদা নদী বিওপি অধীনস্থ পুটিয়া গ্রামে।

অতীতে কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিএসএফ-এর গুলিতে একজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল। জানা গিয়েছিল, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। অনুপ্রবেশ রুখতে গুলি বিএসএফ গুলি চালাতে হয়েছিল বলে সেই সময়  জানানো হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে চোরাচালান সংযোগও তুলে ধরা হয়েছিল। এরপর ১০ এপ্রিল কোচবিহারের সিতাইয়ে বিএসএফ-এর গুলি চালানোর ঘটনা সামনে এসেছিল। তাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল।

কাঁটাতার পেরিয়ে তাঁরা গরুপাচারের চেষ্টা করছিলেন বলে বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়েছিল। সে বার বাংলার নাগরিকদের উপর বিএসএফ জুলুম করছে বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর অভিযোগ ছিল, সীমান্তের ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটাতারের বেড়া ছিল। নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে ঘোরাঘুরি করতে দেখলেও জুলুম করা হয়েছিল। এমনকি তাঁদের মতো নেতারাও বিএসএফ-এর জুলম থেকে ছাড় পাননি বলে দাবি করেছিলেন সেসময় উদয়ন।

 আরও পড়ুন, সীমান্তে বাধা পেতেই ছোঁড়া হল পাথর, BSF-র গুলিতে নিহত বাংলাদেশি পাচারকারী !

এদিকে সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ ইস্যুতে সীমান্তে কমবেশি রোজই অশান্তি চলছে। এখানেই শেষ নয়, সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়েও কম ঝক্কি পোয়াতে হচ্ছে না সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি। এদিকে প্রায় নিত্যদিনই বিএসএফ-র হাতে ধরা পড়ছে  অনুপ্রবেশকারী থেকে পাচারকারীর দল । তবে এই ক্ষেত্রে পাচারে বাধা দেওয়ার পরেও, নিষেধাজ্ঞা না মানায়, বাধ্য হয়েই গুলি চালিয়েছে বিএসএফ বলে খবর।