বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুক থেকে পাকড়াও দুই মাদক কারবারি (Drug Smuggling)। উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার। বাজেয়াপ্ত ধৃতদের গাড়ি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার (East Midnapore ) তমলুক থানার হলদিয়া-মেছেদা জাতীয় সড়কের সোনাপেত্যা টোল প্লাজায় দুই মাদক পাচারকারীকে কয়েক লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার সমেত গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)।
তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওত পেতে বসেছিল। টোল প্লাজার কাছে আসা মাত্রই পুলিশ গাড়িটিকে ঘিরে ধরে তল্লাশি চালায়। গাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ বলেন, 'খড়গপুর থেকে ব্রাউন সুগার নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার কুলবেড়িয়া এলাকায় যাচ্ছিল।সেই খবর আগে থেকেই ছিল। সোনাপেত্যা টোল প্লাজায় আসতেই গাড়িটিকে তল্লাশি চালানো হয়। ওই দুজনের নাম সেক সাকিল ও সেক নুর ইসলাম। দুই জনের বয়েস যথাক্রমে ২২ এবং ৩০ বছর। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার ও কয়েকলক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার ও একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই মাদককারবারিদের সাথে আর কারা যুক্ত আছে ? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
সম্প্রতি শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অভিযানকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং মাটিগাড়া থানার সাদা পোশাকের পুলিশ শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার চাঁদমণি চা বাগানের সংলগ্ন এলাকায় স্পেশাল অপারেশন পুলিশের অভিযানে (Police Raid) গ্রেফতার হয়েছিল তিনজন।ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। যার আনুমানিক বাজার দর প্রায় কোটি টাকা। ধৃতদের মধ্যে ছিল দুজন মহিলা একজন পুরুষ। ধৃতদের নাম মোহাম্মদ হাকিমউদ্দিন, খাতিজা নেশা এবং নাজারা বেগম। ব্রাউন সুগার সহ ধৃত তিনজনকে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ গ্রেফতার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধৃতদের হেফাজত থেকে ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে এনডিপিএস আইনে মামলা রুজু করেছিল মাটিগাড়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের সাথে আর কারা জড়িয়ে রয়েছে ? তার খোঁজে শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও পড়ুন, 'লোকসভায় এখানে দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব', কাকে 'সাফ' করার চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর ?
সম্প্রতি ক্যুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে মাদক পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে নারকোটিক্স কন্টোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau)। বিভিন্ন ক্যুরিয়ার সংস্থাকে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলেছে NCB। এসওপিতে বলা হয়েছে, যাঁরা ক্যুরিয়ার করতে আসবেন এবং যাঁদের তা পাঠানো হবে, দু'জনেরই সঠিক পরিচয় নথিভুক্ত করতে হবে।